1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শোক সংবাদ।। ”কুমিল্লা সদরের মৌলভীনগর গ্রামে বইছে শোকের ছায়া” ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৫টি কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভা ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপন দাশ লালমোহনে ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকির অভিযোগ সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ৩০ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ এর পৌর ৩নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন ভোলা সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহা চৌধুরী হাঁস প্রতিকে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন

স্মার্ট ফকিরহাটে যান্ত্রিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে কৃষকের জীবন

যুগ্ম সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২১৭ বার পঠিত

আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
কিছুদিন আগেও লাঙ্গল, বলদ আর কাস্তে নিয়ে নিরন্তন ছুটে চলা ছিল কৃষকের জীবন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যন্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার বদলে দিয়েছে কৃষকের জীবন। সরকার ঘোষিত স্মার্ট ফকিরহাট উপজেলার কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় কৃষিকাজে এখন চাষীরা ব্যবহার করছে রাইস্ ট্রান্সপ্লান্টার, ড্রাম সিডার, পাওয়ার ট্রিলার, রি[পার, কম্বাইন্ড হারভেস্টার, অটো থ্রিসার মেশিন, ইত্যাদি যন্ত্র। কৃষি বিভাগের দেওয়া ভর্তুকির মাধ্যমে কেনা নতুন নতুন যন্ত্রপাতির ব্যবহারে এখানকার কৃষিখাতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এসব যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে কৃষকের কমেছে শ্রম ও খরচ, অপরদিকে কয়েকগুণ বেড়েছে উৎপাদন। সর্বশেষ এই বোরো মৌসূমেও এর সুফল পাচ্ছে কৃষকেরা।
চলতি মৌসুমে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে যান্ত্রিকভাবে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ফলে ঈদের ছুটি ও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে শ্রমিক সংকট থাকার প্রভাব কাটিয়ে উঠছে কৃষক। কৃষকের মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে রিপার, থ্রেসার, কম্বাইন্ড হারভেস্টার সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি। ইতোমধ্যে বেতাগা ইউনিয়নের ৮০ভাগ ধান যন্ত্রের সাহায্যে কাঁটা শেষ হয়েছে। উপজেলার মোট বোরো ধানের শতকরা ৫০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৭ ভাগ ধান যান্ত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাঁটা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে এ হার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাটে চলতি বোরো চাষের লক্ষমাত্রার চেয়ে আরো ৫০ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে হাইব্রিড ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর ও ৯৫৫ হেক্টর উফশি জাতের ধান রয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলার বেতাগা, লখপুর, বাহিরদিয়া, পিলজঙ্গ, মুলঘরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জমিতে ধানের গোছায় হৃষ্টপুষ্ট ধান পেকে গিয়েছে। অপকারী পোকা বা বালাইয়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় ধান খেতে দিগন্ত জোড়া সোনালী-সবুজের সমাহার। চাষীরা এসব ধান রিপার মেশিন দিয়ে কাটতে ব্যস্ত। সহজেই মাঠে ঢুকে এ যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা ও পাজা দেওয়া যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এটি ব্যবহারে উৎপাদন খরচ ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ কমেছে বলে জানান কৃষকেরা। এছাড়া যন্ত্রটি ব্যবহারের ফলে ৭০-৮২ শতাংশ সময় বাঁচে এবং ৭৫ শতাংশ কম শ্রমিকের প্রয়োজন হচ্ছে।
বেতাগার চাকুলী গ্রামের কৃষক এনামুল শেখ জানান, চাষের জন্য পাওয়ার ট্রিলার ও ফসল কাটার জন্য তার ৮টি রিপার মেশিন আছে। এছাড়া দ্রুততার সাথে ধান মাড়াই ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঝেড়ে দেওয়ার জন্য থ্রিসার মেশিন রয়েছে তার। নিজের জমির পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে অন্যের জমি চাষ, কর্তন ও মাড়াই কাজে তার যন্ত্রগুলো ব্যবহার হয় বলে তিনি জানান। স্মার্ট ফকিরহাটের স্মার্ট কৃষি তাদের উৎপাদন বাড়িয়েছে; কমিয়েছে খরচ।
বিঘাই গ্রামের কৃষক বসন্ত বিশ্বাস বলেন, তার ৭ বিঘা জমিতে ধান হয়েছে। এর ৬ বিঘা রিপার মেশিন দিয়ে কাঁটিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমির ধান কাঁটতে একটি রিপার মেশিনের ১ঘটা ২০ মিনিট সময় লাগে। খরচ হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। অন্য দিকে দিন প্রতিজন শ্রমিকের মজুরী ১ হাজার টাকা। এক বিঘা জমির ধান কাটতে ৬জন শ্রমিকের ৮ ঘন্টা সময় লাগে। সাথে ৩ বেলা খাবার দিতে হয়। ফলে যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাঁটা ও বাড়াই করলে সময় ও অর্থ দু’টোই বাঁচে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দিন দিন ফসলের জমি কমে যাচ্ছে, অপরদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। সে কারণেই অধিক জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিকল্প নেই। কৃষক ও কৃষির কল্যাণে কৃষি বিভাগ সেটাই করছে।’
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্মার্ট ফকিরহাটের রূপকার স্বপন দাশ বলেন, ‘ফকিরহাটে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়েছিল অর্গানিক বেতাগা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। কৃষি বিভাগের সহায়তায় যান্ত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘স্মার্ট ফকিরহাটে স্মার্ট এগ্রিকালচার’ বর্তমানে কৃষকদের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।”

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা