1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

লাউ চাষে আশার আলো দেখছে সাতক্ষীরা তালার শাহিনুর গাজী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
  • ৪২ বার পঠিত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শাহাপুর গ্রামের ইমান আলী গাজীর পুত্র শাহিনুর গাজী লাউ চাষ করে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন। এবার তার হাতের জাদুতে লাউয়ের মাচায় সারি সারি ঝুলছে ছোট বড় বিভিন্ন আকারের লাউ। ফলে লাউ চাষে লাভের মুখ দেখে আনন্দিত গোটা পরিবার। ফসলি জমির পাশে পতিত জমিতে লাউ চাষ করে পেয়েছেন অভাবনীয় সফলতা। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় লাউ চাষ করে এমন সাফল্য পেয়েছেন শাহিনুর। তার এ সফলতা দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন লাউ চাষে। তার কাছ থেকে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফসলের জমির পাশের পতিত ১০শতক জমিতে লাউ চাষ করেছেন। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে উন্নত প্রজাতির লাউয়ের বীজ বপন করেন। বাঁশের খুঁটিতে নাইলন সুতা আর জিআই তার ও পাটখড়ি  দিয়ে উঁচু করে তৈরি করেছেন মাচা। বীজ বপনের দুই মাসের মধ্যে সারি সারি লাউয়ে মাচা ভরে ওঠে। চারা রোপণ, পরিচর্যা, জৈবসার, মাচা তৈরি—সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো। তবে ইতোমধ্যে তিনি ১৫হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে আরো ৪০ থেকে ৫০হাজার টাকার লাউ তিনি বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাড়ির উঠানে বা পতিত জমিতে যে লাউ চাষ করে বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব তা শাহিনুর গাজী করে দেখালেন। লাউচাষে তার অভাবনীয় সফলতা দেখে এলাকার আরো অনেকেই এ কাজে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

চাষি শাহিনুর গাজীর স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন, বেশির ভাগই এলাকার ক্রেতারা বাড়িতে এসে লাউ কিনে নিয়ে যান। আর বাকিগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। তাদের লাউ চাষে রাসায়নিক সার কিংবা বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ জৈবসার ব্যবহার করে আর সযত্নে আবাদ করেছেন লাউ।

লাউচাষি মো: শাহিনুর গাজী বলেন, ফসলের জমির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে লাউ চাষ করেছি। গত দুই  বছর লাউয়ের চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি। এবার আরো বেশি লাউয়ের চাষ করেছি। এবছর তিনি অর্ধলক্ষ টাকা লাউ বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন। আরও দুই মাস ধরে তিনি লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। এবছর আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে হওয়ায় ফলনও হয়েছে আশাতীত। লাউয়ের আকৃতিও বেশ আকর্ষণীয়। গড়ে প্রতিটি লাউ তিনি ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন। রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত হওয়ায় তার লাউয়ের চাহিদাও অনেক বেশি বলে একাধিক ক্রেতারা জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, লাউ চাষের জন্যে তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কোন সহযোগিতা পাননি তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারবেন বলে  জানিয়েছেন।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা