1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিধবা নারীকে ঘর করে দিলেন সমাজসেবক রাজিব হায়দার

জেএম.মমিন, স্টাফ রিপোর্টার ।।
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২১৯ বার পঠিত

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডে অসহায় ও বিধবা নারী মাছুরা বেগম (৫৫) কে একটি টিনের ঘর করে উপহার দিলেন একই উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের পেটমানিকা গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজসেবক রাজিব হায়দার।
মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বিকালে স্থানীয়দের নিয়ে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের পর তার হাতে ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়।
মাছুরা বেগম জানান, পার্শ্ববর্তী ভোলা সদর উপজেলার কোড়ালিয়া গ্রামের দিনমুজুর আঃ কাদেরের সাথে তার বিয়ে হয়। কিছুদিন পর ভিটে মাটিসহ স্বামীর বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ০১নং ওয়ার্ডে বাবার বাড়ীতে আশ্রায় নেন। তখন থেকে বাবার দেয়া জমিতে দোচালা একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন আসছেন। সেই ঘরেই জন্ম নেয় দুই ছেলে ও এক মেয়ে। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী আঃ কাদের পেটে ব্যাথায় মারা যান। পরিবারে উপার্যনক্ষম কেউ না থাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে শুরু হয় তার কষ্টের জীবন। মানুষের সহযোগীতা ও অন্যের বাসায় কাজ করে সন্তানদের নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করতেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়ে ছোট মেয়েকে বিয়ে দেন। তার দুই ছেলেই মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। তারা বিয়ে করে বউ ঢাকায় থাকেন। রিক্সা চালিয়ে সংসার চালান। মানসিক সমস্যা থাকায় দুই সন্তান রেখে ছোট ছেলের বউ কিছুদিন আগে তাকে ডিবোর্স দিয়ে চলে গেছেন। ছেলেরা পারলে কিছু দেয় না পারলে নাই। খেয়ে না খেয়েই এখনো তার বসবাস।


নতুন ঘর পেয়ে তিনি জানান, এতদিন একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্যে পানি পরতো। রাতে ঘুমাতে পারতম না। রান্না বান্না বন্ধ থাকতো। এখন ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। তিনি অভিযোগ করে জানান, আমি সরকারি কোনো ধরনের সুযোগ সুবিদা পাই না।
পাশের ঘরের প্রতিবেশি জোসনা বেগম জানান, দীর্ঘ বছর ধরে তিনি আমাদের বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। অনেক কষ্টে আছেন। তাকে সহযোগীতা করার মতো কেউ নেই। আমরা তাকে বিভিন্ন সহযোগীতা করে আসছি।
প্রতিবেশি ফজলুল করিম, ছিদ্দিক বেপারী ও শহীদুল সহ আরো অনেকে জানান, এতদিন তিনি একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেন। যেকোনো সময় সেটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো। রাজিব হায়দার তাকে একটি ঘর করে দেওয়ায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমার অনুরোধ তাকে যেন সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।
রাজীব হায়দার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমি মানবিক কাজ করে আসছি। কিছুদিন পূর্বে অসহায় বিধবা এই মহিলার কথা আমার বোন আমাকে অবগত করেন। আমি সেখানে গিয়ে তার কষ্টের জীবন ও জরার্জীণ ঘরে বসবাস করতে দেখি। তখনই তাকে একটি নতুন টিনের ঘর করে দেওয়ার পরিকল্পনা করি। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় ঈদুল ফিতরের পূর্বেই উপহার হিসেবে তার ঘরের কাজ সম্পন্ন করে তার হাতে চাবি তুলে দেই। আমরন এমন মানবিক কাজে নিয়োজিত রাখবেন বলেও তিনি জানান।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা