1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের সাথে এস,ডি,এফ প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৭৫ বার পঠিত

সোহেল মাহমুদঃ

কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়  ১৫ই ফ্রেরুয়ারি রোজ  বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় কোস্ট সেন্টার কক্সবাজার হলরুমে  জেলা পরিষদের সদস্য হুমাইয়রা বেগমের সভাপতিত্বে  খুরুশকুল ও পোকখালী ইউনিয়নের ১৬ জন নারী নেত্রীদের উপস্থিতেতে প্রধান অতিথি ছিলেন  এসডিএফ এর প্রতিনিধি রাভাদি ,বিশেষ অতিথি ছিলেন, এসএস এফ প্রজেক্টের  প্রতিনিধিবৃন্দ। সভায় সঞ্চলনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনত কুমার ভৌমিক ও সহকারী সমন্বয়কারী সোহেল মাহমুদ ।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনত কুমার ভৌমিক কোস্ট  ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সর্ম্পকে মালটি মিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন কার এসএস এফ প্রজেক্টের উদ্দেশ্য , জেলে পরিবারের নারী উন্নয়নের কথা ব্যক্ত করেন।

উপকূলে মৎস্য চাষকে অত্যধিক মাছ ধরা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উভয়ই সমাধান হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং প্রান্তিক উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যতা থেকে বাঁচাতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের উপায় হিসাবে ক্রমবর্ধমান করা হচ্ছে।
মৎস্যজীবী মহিলাদের কোন আয় উপার্জনমূলক ক্রিয়াকলাপ জড়িত করার খুব একটা সুযোগ নেই। তারা পরিবারগুলিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াতেও খুব একটা জড়িত নয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াাতে কীভাবে অংশ নেবে সে সম্পর্কে তাদের তেমন কোন সচেতনতাও নেই। তারা পরিবারের পাশাপাশি সম্প্রদায়ের নিরক্ষর এবং সুবিধাবঞ্চিত দল। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধায় তাদের অংশগ্রহন কম। তারা সঠিকভাবে সেবা থেকে বঞ্চিত।
মানুষ সেই সমন্ত দ্বীপে বাস করছে সেখানের বেশিরভাগ জীবিকা নদী-সমুদ্রের মাছ ধরা এবং কৃষির উপর নির্ভর করে। এগুলি বর্ষাকালে ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস থেকে গুরুত্ব অবকাঠামো দিয়ে শক্তভাবে সুরক্ষিত থাকেনা। এই দুর্বলতার কারণে, জনগণের একটি অংশ যারা আরও স্থিতিশীল আয় চায় তারা বিভিন্ন শহর বস্তিতে চলে যায় যেখানে তারা তাদের জীবন-জীবিকা, শিক্ষা হারাচ্ছে এবং জল এবং স্যানিটেশন সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। মহিলারা, কিশোর এবং শিশুরা পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় কারণ পরিবারের বেশিরভাগ পুরুষ মাছ ধরার জন্য সাগরে যান বা আয়ের জন্য শহরে যান।

প্রধান অতিথি  এসডিএফ এর প্রতিনিধি  রাভাদি  জেলে পরিবারের খোজ খবর নেন কার একে একে প্রশ্ন করেন ।
ই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনারা যে সেবা গুলো গ্রহন করেছেন সে গুলো বলুন-

০১..কহিনুর বেগম বলেন, প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছি, হতে মাছ চাষ, সবজি চাষ, ছাগল , গরু , হাঁস মুরগির পালনের পরামর্শ পেয়ে থাকি।
০২..হাসিনা বেগম বলেন-আগে কোন মৎস্য কর্মকর্তাকে চিনতাম না জেন্ডার প্রকল্পের সদস্য হওয়াতে সমাজে এখন সবার সাথে সর্ম্পক তৈরি হয়েছে।এখন আমার স্বামী সহ বাড়ির সব জেলেরা সরকারি আইন মেনে মাছ আহরণ করেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেবা নিয়ে আপনারা কিভাবে উপকৃত হয়েছেন দয়া করে বলুন-

দিলবর বেগম বলেন- প্রকল্পে মাধ্যমে উন্নয়ন শিক্ষা নিয়ে ছাগল ,সবজির চাষ করি খুবই ভাল ফলন হয়েছে আমরা সবাই লাভবান হয়েছি, নিজেরা খেয়েছি,অবশিষ্ট বিক্রি করে সংসারের কাজে ব্যয় করেছি।

জুলেখা বলেন- প্রশিক্ষনে যে বিষয়গুলো প্রকল্প হতে জানতে পেরেছি তা বেশী কাজে লেগেছে।
এই প্রকল্পের কোথাও কোন অসন্তষ্টি থাকলে দয়া করে বলুন-
রিনা বেগম বলেন- আমাদের জন্য একটা স্কুল করলে ভাল হত,আমরা বিকালে পড়তে পারতাম অবসরে সময়ে সময় কাটত ।
কিভাবে এই সেবার মান আরো উন্নত করা যায় বলে আপনারা মনে করেন –
উমি সুলতানা বেগম বলেন- যদি গরু দেওয়া হয় তাহলে ভাল হত, বছরে দুইবার সবজির বীজ দিয়ে তার উপর প্রশিক্ষণ দিলে নারীদের সুবিধা হত।প্রতিটি গ্রামে নারীদের একটা ক্লাব দরকার, ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য স্কুল জরুরী,খেলাধুলার জন্য উপকরন প্রয়োজন ।

সকলকে ধন্যবাদের মাধ্যমে আলোচনা সভা শেষ করেন।

 

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা