1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভোলায় ‘কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন” বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন এর নির্বাচনি প্রচারণায় জেলা শ্রমিক লীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দ্বারাই কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব – এমপি শাওন সুন্দর পৃথিবী আবার দেখতে চায় ফকিরহাটের নামজুল ফকিরহাটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত ফকিরহাটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ভোলায় গাজীপুর চর-মালিক পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভোলায় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু মূলঘরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে স্বপন দাশের মতবিনিময়

উম্মুক্ত হোন,উদার হোন এবং অন্যদের নেতৃত্বের জন্য স্থান তৈরি করুন-রেজাউল করিম চৌধুরী

Rezaul Karim Chowdhury, Executive Director at COAST Foundation
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭৮ বার পঠিত

ড. জেমিলার নেতৃত্ব থেকে শেখা;

মন্ত্রী, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সহ অন্যান্যদের সাথে একজন রাণীর মতো তিনি হল রুমে প্রবেশ করলেন, ৬৯টি দেশের প্রায় ১৫০০ অতিথি এবং হাজার হাজার শিক্ষার্থী, আমরা সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানালাম। তিনি হলেন ড. জেমিলা মাহমুদ, বর্তমানে মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানেটারি হেলথের নির্বাহী পরিচালক। এখন প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যালায়েন্স/আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, আমাদের প্রকৃতি/ ধরিত্রীর স্থায়িত্ব এবং পুনরুদ্ধারের জন্য, প্রকৃতির সাথে আমাদের সম্পর্ককে নতুন করে উদ্ভাবনের জন্য এই আন্দোলন।
সম্ভবত এটা ১৯৯৭ সালে, যখন HAP ইন্টারন্যাশনাল, জেনেভা থেকে মনিকা বালাগেস্কু বাংলাদেশে এসেছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর কাছে জবাবদিহিতার বিষয়ে প্রচারণার লক্ষ্যে, এটা ছিলো একটি ঘূর্ণিঝড়ের পরের সময়। তিনি আমাকে জেনেভাতে HAP বোর্ডে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তার সাথে সাথে ড. জেমি, ক্যাথরিন সামারা এবং শ্রুতি সকলেই আমাকে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যেহেতু বোর্ড আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতাদের ক্লাব হওয়া উচিত নয়। আমি সেখানে জেমিলার সাথে দেখা করি, অবিলম্বে তিনি আমাকে ADRRN -এ মনোনীত করেন, অংশীদারিত্বের নীতিগুলো নির্ধারণের জন্য আমাকে ব্যাংকক এবং পুনরায় জেনেভাতে মিটিং-এ আমন্ত্রণ জানান। তার সনির্বন্ধ অনুরোধের কারণে আমি দুই মেয়াদের জন্য HAP-এর বোর্ড সদস্যপদ অব্যাহত রেখেছিলাম এবং তিন বছর বিরতির পরে HAP, People in Aid এবং Core Humanitarian Standard [CHS]- এর সংস্কারের পর পুনরায় CHS অ্যালায়েন্স বোর্ডে নির্বাচিত হয়েছি।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সম্ভবত ২০১৪ সালে জেমিলাকে বিশ্ব মানবিক সম্মেলন (WHS) এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি কঠোর চেষ্টা করেছিলেন, ডব্লিউএইচএস-এর প্রায় সমস্ত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি আমার মতো দেগান আলী, শ্রুতি, মনু গুপ্তা, আমজাদ সহ অনেককেই বেছে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি এনজিও নেতারাও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। অবশেষে, গ্র্যান্ড বার্গেন চার্টার ২০১৬ সালের মে মাসে ইস্তাম্বুলে গৃহীত হয়েছিলো।
এরপর জেমিলাকে জেনেভাভিত্তিক আইএফআরসি-এর সহকারী মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর অর্থায়নে স্থানীয়করণ প্রকল্পেরও নেতৃত্ব দেন। আমি জেনেভায় তার বাসায় যেতাম। তখন সময়টা ২০১৭ – ২০১৮ এর মধ্যে, যখন আমরা কক্সবাজারে গ্র্যান্ড বার্গেন চার্টার এবং স্থানীয়করণের জন্য একের পর এক পাবলিক সেমিনার করছি, তখন একজন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান তাকে দেড় পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছিলেন, যে আমি কক্সবাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাধা দিচ্ছি। জেমিলা আমাকে একটু ধীরগতি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু ইতিবাচকভাবে কাজ চালিয়ে যেতেও উৎসাহিত করেছিলেন।
তার সুপারিশ নিয়ে কক্সবাজার থেকে আমি মোরশেদ ভাইকে জেনেভা এবং জাকার্তায় নিয়ে গিয়েছি, কারণ তিনি সর্বদাই স্থানীয় নাগরিক সমাজের নেতৃত্বকে বিকশিত করতে চান। মানবতাবাদে তার অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তিনি ইতিমধ্যে বিশেষ করে কাতার চ্যারিটি থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি মার্সি মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, একবার আমাদের / কোস্টকে ঐ সংস্থাটি পর্যালোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যে তারা জবাবদিহিতা এবং গুণমান ব্যবস্থাপনায় সার্টিফিকেশন পেতে পারে কিনা এবং কীভাবে। তিনি সর্বদা কোস্ট-এর উদাহরণ দিয়ে থাকেন, অর্থাৎ, HAP সময়কালে কোস্ট হল একমাত্র দক্ষিণী সংস্থা যা কোনো সংশোধনমূলক পরামর্শ ছাড়াই সার্টিফিকেশন পেয়েছে।
জেমিলা সারা বিশ্ব জুড়ে এমন সব লোকদের চেনেন/ জানেন যারা অন্যদের সংগঠিত করতে সক্ষম এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এখনও কিছু কর্মী তার সাথে রয়েছে যারা OCHA এবং IFRC-তে তার সাথেই কাজ করছেন। খুব সম্প্রতিই আমাকে তিনি আবারও যুক্ত করেছেন, তিনি গ্রান্ড বার্গেন ৩.০-এর জন্য নির্বাচিত একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। একবার আমি ব্রসেলসে তার সাথে দেখা করেছিলাম এবং তাকে আমার একজন গ্লোবাল অ্যাক্টিভিস্ট সহকর্মীকে বিকশিত করার জন্য অনুরোধ করছিলাম, সে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিল এবং তাকে সেক্যুলার নয় হিসেবে বিবেচনা করেছিল। আর এক সময়, অন্য আর একজন গ্লোবাল অ্যাক্টিভিস্ট-এর জন্য অনুরোধ করলে তিনি বলেছিলেন যে ব্যক্তিটি ঝঁঝাটপূর্ণ অহেতুক বকাঝকা করে। আমি তার আচরণ থেকে যা শিখেছি তাহলো- সে বেছে নিয়েছে এবং অন্য নেতাদের জন্য জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। তিনি আমিনা মাহমুদের মতো একজন সম্মানিত মুসলিম নারী, তবে তিনি বক্তব্যে এবং চর্চায় অধিক ধর্মনিরপেক্ষ। তিনি বকাবকি পছন্দ করেন না এবং তিনি কখনও প্রতিশোধ নেন না।
মনে আছে, একবার আমরা তাকে জেনেভা ভিত্তিক এনজিও জোটের একটি বোর্ডের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্ররোচিত করেছিলাম, তিনি হেরেছিলেন এবং আমরা জানি কেন তিনি হেরেছিলেন এবং কারা তার বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। তিনি প্রতিশোধ নিতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি, বরং তিনি একটি ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং ব্যক্তিটির বিকাশে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, যে কোন মূল্যেই প্রতিশোধ নয়, যদি আপনি অন্যের দ্বারা জনসমক্ষে অপমানও হন বা অন্যের ষড়যন্ত্রের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থও হন তবুও তাদের সেরা বন্ধু হিসাবে আলিঙ্গন করুন।
স্যালুট জেমিলা, আপনার নেতৃত্বের এপ্রোচ থেকে আমাদের/ আমার অনেক কিছু শেখার আছে।
কুয়ালালামপুর, ১৭ এপ্রিল ২০২4

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা