1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে লালমোহনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতারুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলন ভোলার লালমোহনে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটব এর সংবাদ সম্মেলন ফকিরহাটে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ চুরির অভিযোগ মোঃ মিজানুর রহমানের জন্ম দিনে শুভেচ্ছা ও দোয়া মোংলায় প্রতীক পেয়েই প্রচারে প্রার্থীরা বাংলাদেশ ব্লাড ডোনার ফাউন্ডেশনের ভোলার কমিটিতে আলামিন সভাপতি ইউসুফ সম্পাদক স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ৮০% এরও বেশি বিড়ি শ্রমিক চান বিকল্প কর্মসংস্থান” সাতক্ষীরার ৬টি ক্লাব ও সংগঠনের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করলেন এমপি সেঁজুতি ভোমরা স্থলবন্দরে অস্থিতিশীল সৃষ্টিকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করলেন এমপি লায়লা পারভীন সেঁজুতি

সমুদ্র সৈকত বিশ্বের বৃহৎ বদ্বীপ কক্সবাজার

উপকূল বার্তা ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৮৩ বার পঠিত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত একটি মায়াবী ও রূপময়ী সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ এর রূপ পরিবর্তন করে। শীত-বর্ষা-বসন্ত-গ্রীস্ম এমন কোন সীজন নেই সমুদ্র সৈকতের চেহারা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রত্যুষে এক রকম তো মধ্যাহ্নে এর রূপ অন্য রকম। গোধুলি বেলার বীচের হাওয়া-অবস্থা আর রাতের বেলার আবহাওয়া-অবস্থার মধ্যে বিস্তর ফারাক। তাই তো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য ক্যাপ্টেন কক্স এর সমুদ্র সৈকত এত কদরের, এত পছন্দের। বিদেশি পর্যটকদের ইদানিং তেমন চোখে না পড়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে এখানে সুযোগ সুবিধা তাদের জন্য আহামরি তেমন কিছুই নেই। পর্যটকরা সী বীচে কোন ধর্মীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসে না। তারা আসে সী-বীচের সাথে আলিঙ্গন করতে, স্নান করতে, এর সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে আর নির্ভেজাল নির্ঝঞ্জাট ও নিরাপদ পরিবেশে বিশুদ্ধ বাতাস খেতে।

শুধু সমুদ্র সৈকত নয় পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানও। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য তাই কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। কক্সবাজারের আদি নাম পালংকী। ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামের এক কর্মকর্তা ১৭৯৯ সালে এখানে এসে একটি বাজার স্থাপন করেন। আর তার নাম অনুসারে কক্স সাহেবের বাজার এবং পরে কক্সবাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কক্সবাজারের উত্তরে চট্টগ্রাম, পূর্বে-বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও মিয়ানমার, পশ্চিম ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ জেলায় রয়েছে ৫টি নদী। এগুলো হলো- মাতামুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কোহালিয়া ও নাফনদী। দ্বীপ রয়েছে ৫টি। এগুলো হল- মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন।

জোয়ার ও ভাটার সময় প্রদর্শনের জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে রয়েছে স্থায়ী-অস্থায়ী বিলবোর্ড ও ব্যানার। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ার-ভাটার জনসচেতনতা ও শিক্ষামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সমুদ্র সৈকতে কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে এলসিডি টিভি মনিটর স্থাপনের জন্য কয়েকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

কক্সবাজার রূপালী সমুদ্র সৈকতে বীচ বাইক, জেট স্কী, ঘোড়ার গাড়ি বা ঘোড়া পর্যটকদের জন্য আনন্দের খোরাক যোগায়। সমুদ্র সৈকতে অনেক চেঞ্জিংরুম, বাথরুম, টয়লেট স্থাপনের কারণে পর্যটকদের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে কোন অসুবিধে হচ্ছে না।

সমুদ্র সৈকত সমুদ্র সৈকত হলো এক ধরণের ভূ-তাত্ত্বিক স্থলভাগ। যা গড়ে উঠে কোনো জলভাগের পাশে। সাধারণত সমুদ্রের পাশে গড়ে উঠা স্থল ভাগকে সমুদ্র সৈকত বলা হয়। যে সকল স্থানে বাতাসের প্রবাহ এবং মহাসাগরীয় স্রোতে কার্যকর হয় সে সকল স্থানে ভূ-তাত্ত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমুদ্র সৈকত সৃষ্টি হয়।

ইতিহাস প্রতিটি স্থানেরই নামের পেছনে একটি ইতিহাস থাকে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় যে, ১৭৯৭ সালে বার্মার (মায়ানমার) আরাকান অঞ্চলে গোলযোগ দেখা দেয়। ফলে সেখান থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দেয়া হয়। এই বিতাড়িত ছিন্নমূল বাঙালিরা বর্তমান কক্সবাজার, উখিয়া, গুনডুম প্রভৃতি অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। ঐ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর একজন দূত ক্যাপ্টেন কক্স বার্মার রাজ দরবারে কাজ করতেন। তিনি কোম্পানীর নির্দেশে এখানকার শরণার্থীদের তদারকি এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য কক্সবাজার ছুটে আসেন। তখন এখানকার সমগ্র এলাকা মশা ও জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানুষের বসবাসের অযোগ্য ছিল। ক্যাপ্টেন কক্স এমন পরিবেশে অস্বস্তিবোধ করলেও শরণার্থীদের ফেলে চলে যায়নি। বরং তিনি তাদের জন্য কাজ করতে থাকেন। তখন এই সাগর তীরের নাম ছিল ফালকিং অবশেষে ১৮০২ সালে ক্যাপ্টেন কক্স এখানে মারা যান এবং তার নাম অনুসারেই স্থানটির কক্সবাজার নামকরণ করা হয়।

বিনোদনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র দর্শনীয় স্থান: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার শহরের মাহাসিংদোগ্রী বৌদ্ধ, বার্মিজ মার্কেট, অজ্ঞমেধা ক্যাং, রাডার স্টেশন, হিলটপ সার্কিট হাউজ, হিমছড়ি ঝর্না ও সমুদ্র সৈকত, রামুর বৌদ্ধ বিহার, রাবার বাগান, চকরিয়াস্থ ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, টেকনাফের সমুদ্র সৈকত, মথিনের কূপ, সেন্টমার্টিন প্রবালদ্বীপ, ছেঁড়াদ্বীপ, মহেশখালী জেটি, আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া বাতিঘর, উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত কানা রাজার সুড়ঙ্গ।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান:  বর্তমান বিশ্বে পর্যটন বিলিয়ন ডলারের শিল্প মাধ্যম। শতাব্দীর সেরা এবং বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প হলো পর্যটন। বাংলাদেশও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। পর্যটন শিল্প এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। তবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের কথা কল্পনাই করা যায় না। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মূল আকর্ষণ হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্যের টানে প্রতিবছর বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের আগমন ঘটে। কক্সবাজারের শ্যামল বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ। পর্যটনের ক্ষেত্রে এই সব বৈশিষ্ট্য সম্ভাবনার দাবি রাখে। এখানে প্রাকৃতিক নির্জনতা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। এ জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে এ পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার অপার সম্ভাবনা এবং সুযোগ এখানে রয়েছে। নিঃসন্দেহে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেশের জাতীয় উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

কক্সবাজারে রয়েছে পর্যটকের জন্য সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। এর মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল (ফোন -০৩৪১-৬৩২৭৪) তারকা মানের সিগাল হোটেল (ফোন নং-০৩৪১-৬২৪৮০-৯১) হোটেল সি-প্যালেস (ফান নং-০৩৪১-৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২, ৬৩৭৯৪, ৬৩৮২৬) হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০১৮১৭ ০৮৯৪২০) হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল (০৩৪১-৬২৮৮১-৮৫ ৬২৮৮১-৮৫) হোটেল ওসান প্যরাডাইস লি. (০১৯৩৮৮৪৬৭৫৩) উল্লেখ্যযোগ্য।

খাওয়ার ব্যবস্থা:
কক্সাজারে খাওয়ার মত অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট আছে। বাজেট রেস্টুরেন্টের মধ্যে ঝাউবন ও পৌষির নামই সবার আগে আসে। এধরণের বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট আছে, খাবারের মান মোটামুটি একই। রোদেলা, ধানসিঁড়ি, নিরিবিলি। মেনু অনুসারে দামের তালিকা নিচে দেওয়া হল। সিজনে কম/বেশী হতে পারে: ভাত: ২০-৪০ টাকা মিক্সড ভর্তা: ৭৫/১৫০/৩০০ (৮-১০ আইটেম) লইট্যা ফ্রাই: ১০০-১২০ (প্রতি প্লেট ৬-১০ টুকরা) কোরাল/ভেটকি: ১৫০ (প্রতি পিচ) গরু: ১৫০-২০০ (২ জন শেয়ার করতে পারবেন) রপচাঁদা ফ্রাই/রান্না: ৩০০-৪০০ (বড়, ২জন খাওয়ার মত) ডাল: ৩০-৬০ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য নাম পৈাষী । হোটেল জোন থেকে কিছুটা দুরে শহরে এর অবস্থান। রিকশা/অটো ৫০ টাকা নিবে। দাম মোটামুটি একই। কিন্তু খাবার ভালো হবার কারণে ভিড়টা খুব বেশী থাকে। এছাড়া হান্ডি রেস্তারায় হায়দারাবদী বিরাণী খেতে পারবেন ২০০-২৫০ টাকায়। অবস্থান লাবণী পয়েন্টে। কেএফসিও আছে, যদি কারো খেতে ইচ্ছা করে।

কিভাবে যাবেন

কক্সবাজারের সরাসরি গাড়ী চলে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে। যেমন, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর ইত্যাদী। ঢাকা থেকে নন এসি গাড়ী আছে অনেকগুলো। শ্যামলী, টিআর, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, সৈাদিয়া, ইত্যাদী। ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা। আর যদি এসি তে যান আছে গ্রীন লাইন, ‍সৈাদিয়া, দেশ ট্রাভেলস, টিআর, সোহাগ ইত্যাদী। ভাড়া পড়বে ১৬০০(ইকোনমি ক্লাস)-থেকে ২০০০ টাকা (বিজনেস ক্লাস)। সময় লাগতে পারে ১২-১৪ ঘন্টার মত। এছাড়া সেন্টমার্টিন পরিবহন বলে একটি সার্ভিস চালু আছে যেটা চলে টেকনাফ পর্যন্ত। নন এসির ক্ষেত্রে ইউনিক এবং শ্যামলীর সার্ভিস ভালো এবং এসির ক্ষেত্রে দেশ এবং টিআর ট্রাভেলস ও দেশ ট্রাভেলস সার্ভিস ভালো।

চট্টগ্রাম থেকে প্রতি ঘন্টায় কক্সবাজারের গাড়ী পাওয়া যায় বহদ্দার হাট থেকে। অধিকাংশ গাড়ীও অত্যন্ত লোকাল। ভালো সার্ভিস দেয় এস আলম ও সৈাদিয়া, ছাড়ে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার, দামপাড়া থেকে। লোকাল বাস সমুহ ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা আর ডিরেক্ট বাস গুলো ৩৫০-৪০০ টাকা।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা