স্টাফ রিপোর্টারঃ
চরফ্যাশনে সাংবাদিক আদিত্য জাহিদের ওপর দুই দিনের মাথায় বুধবার সন্ধ্যার পর তার নিজ অফিসে ঢুকে ফের হামলা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে মিডিয়া পাড়ায়। আদিত্য জাহিদ চৌধুরী দৈনিক আমাদের সময়ের স্থানীয় প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের চরফ্যাশন শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেন। আহত সাংবাদিক আদিত্য জাহিদকে ভোলা সদর হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পুলিশ নিরাপত্তায় ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে দেয়া হয়। রাতেই আদিত্য জাহিদকে ভোলা সদর হাসপাতে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদশর্শীরা জানায় এ হামলায় কথিত ছাত্রলীগ নেতা তুহিন হাওলাদারের নেতৃত্বে ফয়সাল,করিম মৃধা, আবির,হুমায়ুন, আবু তাহের,শামীম, মনির,কামাল,মুন্না, অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন। এরা দেশীয় অস্ত্রসহ অফিসে ঢুকে হামলা ও তান্ডব চালায়।
গত দুদিন আগে স্থানীয় রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার হন তিনি, তার পুত্র এবং দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধিসহ তিনজন হামলার শিকার হওয়ার পর হামলাকারীদের অব্যাহত হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টির কারণে চিকিৎসা নিতেও সাহস পাননি। একই দিন হামলাকারীরা সাবেক সচিব মেজবাহউদ্দিনের ওপরও হামলা করে পাগলা কুকুরের ন্যায় ২০-২৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এতে দুই সাংবাদিক রক্তাক্ত এবং আদিত্য জাহিদের পুত্র এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা আদিত্য জাহিদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশকে জানানো হলে তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহনসহ মোবাইল উদ্ধারের আশ্বাস দিলেও দু’দিনে পুলিশ পেরে ওঠেনি। পুলিশ ওই বাহিনীর কাছে অসহায়ের কারণে দুদিনে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেননি। আহত সাংবাদিক আদিত্য জাহিদ জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যায় তার নিজ চেম্বারে থাকাকালে সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর হামলা করে। হামলাকারীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে।