স্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকার যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে সেখানে মাদক বিক্রেতারাও বেপরোয়া হয়ে মাদক বেচাকেনা করছে। অথচ দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার বাগবাড়ী এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত ছেঁচড়া আলমগীরের মাদক ব্যবসার কারণে উঠতি বয়সের কিশোর ও যুব সমাজ বিপথগামী হয়ে পড়ছে। মাদকের কারণে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। গাঁজা ও ইয়ারা বিক্রি করে আলমগীর এলাকার কাউকেই মানছেনা। শুধু বন্দরেই নয় নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূইয়ারবাগ এবং সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায়ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অবৈধ মাদক বিক্রি করছে।
জানা যায়, মাদকাসক্ত ছেঁচড়া আলমগীর বাগবাড়ী এলাকার আবুল প্রধানের ছেলে। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকাসক্ত হয়ে প্রথমে মাদকের টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ছিনতাই করে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে মাদক সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে ইয়াবা ও গাঁজার পুড়িয়া বিক্রি করে। যদি কেউ তার মাদক বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করে তাহলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী সহ মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসিয়ে হয়রানী করে থাকে। শুধু আলমগীরই নয় এই ছেঁচড়া মাদক বিক্রেতার পুরো পরিবারই প্রতারক চক্র। মানুষকে ফাঁদে ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত করাই তাদের পেশা। এলাকার আশেপাশের লোকজন জানায়, আলমগীর ও তার ভাই-বোন এবং পরিবারের সদস্যরা পেশাদার প্রতারক। বন্দরের সফিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, মাদক বিক্রেতা আলমগীর একজন মামলাবাজ ও সাইকো। কারো সাথে সাধারণত কিছু হলেই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বিষয় নিয়ে নাটক সাজিয়ে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করে থাকে। নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূইয়ারবাগ এলাকার রাজিব জানায় মাদকাসক্ত আলমগীর বিভিন্ন মানুষের সাথে ছলচাতুরী করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে উল্টো ভুক্তেভোগীকে হয়রানী করে। আবার মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। আরো জানা যায়, ছেঁচড়া আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রায় চারটি বিভিন্ন অপরাধের মামলা চলমান রয়েছে নারায়ণগঞ্জ আদালতে। এছাড়াও বিভিন্ন থানায় অভিযোগ ও জিডি রয়েছে। এ ব্যাপারে আলমগীরকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের র্যাব, ডিবি, থানা পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।