শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোরে উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল গ্রাম থেকে একজনকে ও কালাইয়া বন্দর থেকে অপরজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (২২ মার্চ) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার ইন্দ্রকুল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মো. নাফিজ মোস্তফা আনসারী (১৫) ও মো. মারুফ হোসেনকে (১৫) পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এক দল কিশোর। নিহত দুই ছাত্র ইন্দ্রকুল এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে নিহত নাফিসের মা নার্গিস বেগম বাদী হয়ে বাউফল থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ২০ মার্চ ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায়ে পা লাগাকে কেন্দ্র করে বিরোধে জড়ায়। সেই রেশ ধরে বুধবার ২২ মার্চ বিকেলে বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠান শেষে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিস, মারুফ ও সিয়ামের বাড়ি ফেরার সময় ব্রিজের ওপর আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নবম শ্রেণির রায়হান, নাঈম, হাসিবুলসহ বেশ কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায় এবং ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক তাদের উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নাফিস ও মারুফকে বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। সিয়াম বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। এ জোড়া খুনের ঘটনায় গোটা বাউফলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।