1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

রহস্যময় আলীর গুহা।।

মোঃ মিজানুর রহমান
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৬২ বার পঠিত
আলীর সুড়ঙ্গ নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। আলীকদম নাম নিয়ে যেমন নানা কথা, উপকথা আর অভিমত চালু আছে, তেমনি রহস্যময় এই গুহা নিয়েও মজার মজার সব গল্প আর কিংবদন্তি পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর কাছে এই রহস্যগুহার নাম আলীর সুরম। সরকারি নথিপত্রে এটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে পুরাকীর্তি হিসেবে। শুধু যে সুড়ঙ্গটা আলীর নামে তা কিন্তু নয়, যে পাথুরে পাহাড়ে এই গুহার অবস্থান তার নামও আলীর পাহাড়। আর উপজেলার নাম আলীকদম। এই আলীকদম, আলীর পাহাড় আর আলীর গুহা একসূত্রে গাঁথা বলে ধারণা করা যায়।
দিনটা ছিল শুক্রবার, চকরিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে চাঁন্দের গাড়িতে করে পাহাড়ী উচু নিচু ঢাল বেয়ে লামায় পৌছলাম সময় নিল ঘন্টা দেড়েক। একটু ঘুরাঘুরির পর দুপুরে খাওয়া শেষে আলীকদমের উদ্দেশ্যে আবারও পথ চলা। লামা থেকে সমতল রাস্তা ধরে আলীকদমের পথ এবার যাত্রা বাসে। বেলা ৩টায় পৌছলাম গন্তব্যে। চকরিয়া থেকে আলীকমদের দুরত্ব ৪৩ কি.মি.। মনে মনে ভাবলাম লামায় থাকাটাই ভাল ছিল এ যে সমতল যেটা আমাদের এখানেও আছে। যাই হউক নতুন জায়গা ঘুরে আসি। বাস থেকে নেমে টমটমে ৩ কি.মি. পরই মংচুপরু তৈন খাল পেরিয়ে ছোট একটি পাহাড়ের উচুতে দাড়ালাম। খুবই সাবধানে পাহাড়টির ঢাল বেয়ে খাড়া নিচে নামলাম। দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে পানি পেড়িয়ে এগিয়ে চলেছি। বিস্তৃত সবুজের বুক চিরে যাচ্ছি। পিচ্ছিল পথ। এক কদম এগোয় তো দুই কদম পেছনে যায়।
অনেক্ষন হাটার পর অবশেষে সুড়ঙ্গের দেখা। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা দুটো উঁচু পাহাড়ের একটির মধ্যভাগে দেখা যাচ্ছে সুড়ঙ্গে ঢোকার প্রবেশমুখ। দুপাশে পাথড়ের পাহাড়,মাঝে সরু পথ। গুহায় উঠার জন্য নিচ থেকে প্রবেশমুখ পর্যন্ত ওঠানামার জন্য রাখা হয়েছে একটি লোহার সিঁড়ি। সিঁড়ি ভেঙে সুড়ঙ্গের মুখে পা রাখলাম। মনে হলো এভারেস্ট জয় করেছি। সুড়ঙ্গের ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। একবারে গা ছমছমে অন্ধকার। এর মধ্যে এক ঝাঁক বাদুড় উড়ে গিয়ে ভয়টা আরও বাড়িয়ে দিল। পকেট থেকে মুঠোফোন বের করে আলো জ্বালানো হলো। সেই আলোয় সুড়ঙ্গের অন্ধকার কিছুটা দূর করে সামনে পা ফেলছি। সুড়ঙ্গের নিচে জমে থাকা অল্পস্বল্প পানিতে পথটি পিচ্ছিল হয়ে গেছে। স্থানীয় এক কিশোর আমার হাত ধরে টেনে ৬০-৭০ মিটার পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। ভয়ংকর গুহা। আর সামনে এগোনো যাচ্ছে না।
নিচে সাপসহ বন্য প্রাণী থাকতে পারে—এই আতঙ্কে ভর করেছে। এবার ফেরার পথ ধরলাম সুর্যি মামা বাড়িতে যাওয়ার পথে। তৈন খাল পেরিয়ে চায়ের আড্ডায় বিশ্রামের সময় কিছু তরুনের সাথে আলাপ। ঈদগাহ থেকে ওরাও ঘুরতে এসেছে চান্দের গাড়ি নিয়ে। বলল আংকেল কিভাবে যাবেন সন্ধ্যা হয়ে এলো যে পাহাড়ী পথ –চলেন আমাদের সাথে রাজি হয়ে রওনা হলাম। লামার সেই ভয়ংকর পাহাড়ের উঁচু পথ বেয়ে উঠতেই গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেল, রাত তখন ৮:০০ টা। অজানা এক ভয় কাজ করতে লাগল কিছুক্ষণ পর পরই গাড়ি যাওয়া আসা কিন্তু কোন গাড়িই থামালো না। অবশেষে সকলে মিলে গাড়ি পেছনে ঠেলতে ঠেলতে পাহাড়ের উঁচুতে পৌছলাম। ততক্ষনে সবাই ক্লান্ত রাত্র গভীর হচ্ছে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে আবারও গাড়িতে অবশেষে রাত্র ৯:০০ টায় নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছলাম। ভয়, আতংক আর আকাংখা নিয়ে ঘুরে এলাম আলীকদম।
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা