ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলায় গণঅধিকার পরিষদের সহযোগিতায় এবং ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ ভোলা জেলা শাখার বাস্তবায়নে গত ১০ এপ্রিল মেঘনা নদীতে জেলে ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত আমির রাঢ়ী এবং আহত ও কারাবন্দী জেলে পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ভোলার শহরের কর্ণফুলী টাওয়ারের তৃষ্ণা রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসময় নিহত আমির রাঢ়ীর ও আহত ১০ জেলে পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন গনঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ।
বাংলাদেশ গন-অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সহকারী সদস্য সচিব আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গন-অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ভোলা জেলা শাখার সভাপতি আসমাউল হুসনা হ্যাপি, উপকূল প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন ফরাজি, যুব অধিকার পরিষদে নেতা গাজী ইমরান প্রমূখ। কেন্দ্রীয় গনঅধিকার পরিষদের নেতা সামির ফারজীর সার্বিক সহযোগিতায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গনঅধিকার পরিষদের নেতা আরিয়ান আরমান, ইমরান তাহেরসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদে নেতা আজিজ রায়হান। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নদীতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে সরকারের উচিত শতভাগ জেলেদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। প্রণোদনা না পেয়ে জেলেরা পেটের দায়ে নদীতে মাছ ধরতে নামতে বাধ্য হয়। যদি প্রকৃত জেলেদের মাঝে খাদ্য সহয়তা দেওয়া হতো তাহলে জেলেরা নদীতে আর নামতো না আর ১০ এপ্রিলের ঘটনাটি ও ঘটতো না। বক্তারা আরো বলেন, নৌ-পুলিশ কোন আইনের বলে সাধারণ জেলেদের গায়ে গুলি চালায় তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সরকারের কাছে আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। এবং নৌ-পুলিশের খাম খেয়ালীপনার কারণে আজ একটি প্রাণ ঝড়ে গেলো , একটি পরিবার হারালো তাদের একমাত্র উপার্জন করার ব্যক্তিকে। এই নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে নদীতে চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ হয়েছে। অতএব সরকার কে বলবো এর বিরুদ্ধে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য।
নয়তো ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আরো ঘটনাবে তারা। উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মজুচৌধরীর ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে নৌ-পুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে আমির হোসেন রাঢ়ী (৩০) নামের একজন জেলে নিহত হন। নিহত আমির হোসেন রাঢ়ী ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামের ছেলে। উক্ত ঘটনায় আরও ১০ জন জেলে আহত হয়েছেন।