1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

আমাদের সমাজে নারীদের অবস্থান এর পরিবর্তন একান্ত কাম্য।

Anjuman Khan
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৫২ বার পঠিত

নারী পুরুষের অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে আমাদের ধারনা সুস্পষ্ট নয়।যার কারনে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মানে আমরা ব্যর্থ। সকল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হলে নারীরাও পারে এগিয়ে যেতে।পুরুষতান্ন্রিক সমাজে সাধারণত মনে করা হয় নারীর প্রধান কাজ ঘরের কাজ করা, সন্তান লালন পালন করা।আর পুরুষের কাজ হলো উপার্জন করা,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহন করা।

এগুলো তাদের উভয়ের অবস্থা। কিন্তু সভ্যতার উন্নয়নে এই অবস্থার ও পরিবর্তন হয়েছে।নারী বাহিরে কাজ করছে,উপার্জন করছে। কিন্তু তার অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়েছে কি? না, হয় নি। কারন অবস্থানের পরিবর্তন তখন ই হতো যখন নারীর আয়ের উপর তার নিজের নিয়ন্ত্রন থাকতো। আর একটু সহজভাবে যদি বলি যে আগে মেয়েরা মাটির চুলায় রান্না করত সেটি তাদের অবস্থার উদাহরন। আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়ায় এখন রাইস কুকার,ইনডাকশন কুকার, ব্লেন্ডার মেশিন ইত্যাদি এসেছে।কিন্তু এসব উন্নত মেশিনগুলো চালাচ্ছে তো সেই নারী ই।

যদি সেখানে নারীর পাশাপাশি পুরুষ তার কাজে সহযোগিতা করতো তাহলেই কেবল নারীর অবস্থান এর পরিবর্তন সম্ভব ছিল।অনেকের মনেই প্রশ্ন আসবে যে আজকাল তো পুরুষরা নারীকে সহযোগিতা করছে। হ্যা,অবশ্যই তারা নারীর কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে।কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছি কি এই এগিয়ে আসা পুরুষদের হার কত শতাংশ। এখনও অনেক উচ্চশিক্ষিত পুরুষ সেই মান্ধাতার আমলের ধ্যান ধারনা পোষন করছে। তাদের চোখে নারী সহযোগী নয় শুধুই তাদের অধস্তন, তাদের দাস। কবে আসবে এই মনোভাবের পরিবর্তন জানিনা! আমরা কজনের খবর ই রাখি।

এমন অনেক নারী আছে যে কিনা সংসারের উন্নতির জন্য চাকরি করছে,আয় উপার্জন করছে। অথচ কোনদিন জানেও না যে কিভাবে স্যালারি তুলতে হয়।কারন এ কাজ টি তার স্বামী করছে। হতে পারে সেটি তাদের পারস্পরিক সমঝোতার কারনে।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেটি চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে হয়ে থাকে।এসব নিয়ে কথা বললে অনেক সময় ই নারীবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। একটু ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করলে সেটি মনে করার কথা নয়। অনেক নারী অনেকাংশে লাঞ্ছিত বঞ্চিত।অথচ প্রকাশ করতে পারছেনা শুধু সমাজের ভয়। যখন তার উপর এ অবহেলার বোঝা অনেক ভারী হয়ে যায় তখন সে সেই বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়।আর তখন ই ঘটে যত বিপত্তি।নারীকেই দোষী করা হয়।

নারীর সকল কাজে পুরুষ যদি এগিয়ে আসে,তাকে যদি একটু মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয় তাহলে কোন সংশয় থাকার কথা নয়।তাই এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা দরকার আগে। পুরুষ যদি নারীকে তুচ্ছ মনে না করে বরং তার সহযোদ্ধা মনে করে তার কাজে সহযোগিতা করে,সকল ক্ষেত্রে তার ইচ্ছার মূল্য দেয় তাহলে নারীর অবস্থান এর পরিবর্তন হতে পারে। মূলত সমান সুযোগ পেলে বিধি নিষেধের বেড়াজাল অতিক্রম করে নারীরাও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

Anjuman Khan

,Lecturer in English,

Choyta Nesaria Fazil Madrasah,Mirzagonj,Patuakhali.,

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা