১ মার্চ ২০২২। ঢাকাঃ
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন একটি ভয়ংকর চ্যানেল। এতে অনেক সরল শিশু ছেলে ও মেয়েরা ফাঁদে পরে। আমরা হুশিয়ার করা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কিছু করার নেই। সাইবার ক্রাইম নিয়ে এখন বৈশ্বিক ভাবে আলোচনা হচ্ছে, আশাকরি একটি পথ বের হয়ে আসবে। তারপরও আমরা সাইবার ক্রাইম দমন আইন করেছি, সেটা নিয়েও অনেক মহলে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে দরিদ্র কথাটি এখন অপমানজনক শব্দ, এটা ব্যবহার করবেননা, এখন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে শুধু আয়ব্যয়ের তারতম্য আছে। সরকারে আমরা যারা আছি, তাদের দায়িত্ব হল সকলকে সম্পৃক্ত করে সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া, এটা আমাদের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব। মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা একটি আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত কুসংস্কার, ঝাড়ফুক মুক্ত অস্প্রদায়িক ও জঙ্গি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যার মালিক হবে নতুন প্রজন্ম।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে চাইল্ড পার্লামেন্টের স্পীকার মারিয়াম আক্তার জ্বীমের সভাপতিত্বে “ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং শিশু সুরক্ষা” প্রতিপাদ্য নিয়ে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগে ২০তম অধিবেশনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ইয়েস বাংলাদেশ ও অপরাজেয় বাংলাদেশের আয়োজনে এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ওয়াই মুভস প্রজেক্ট এর আওতায় এবারের চাইল্ড পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিবেশনে ৬৪ জেলার শিশু সাংসদরা তাদের নিজ নিজ জেলার শিশুদের পক্ষ থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অধিবেশনে ডেপুটি স্পীকার যথাক্রমে প্রদীপ্ত রায় সরকার ও জিনিয়া আক্তার সুইটি, প্যানেল ডেপুটি স্পীকার আসিফ মাহমুদ ও মাহবুবা তাবাস্সুম ইমা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদ সদস্য, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গার্লস রাইটস বিভাগের পরিচালক কাশফিয়া ফিরোজ, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভীন খানম ও শামিমা আক্তার খানম।
পার্লামেন্টের অধিবেশনে শিশুরা নিজ নিজ জেলার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরবেন। একই সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে শিশুরা জাতীয় পর্যায়ে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ার সাথে শিশুদের সম্পৃক্ত দাবী জানান।