ভোলার লালমোহনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল এর ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, লালমোহন উপজেলা শাখার আহবায়ক ও পৌরসভার আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে পৌরশহরের চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, লালমোহন উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ জালাল উদ্দিন-(বেল্লাল) এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী-(শাওন)।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি শাওন বলেন, জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের আজকের এই দিন (১৮ অক্টোবর) জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই দুরস্ত প্রাণবন্ত ছিলেন রাসেল। কিন্তু সেই দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেলকে ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু- কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে পরম আদরের নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম- গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ- লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে আজ বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, আজকে যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতো তাহলে হয়তো জাতীর পিতার স্বপ্ন তার হাত ধরে বাস্তবায়ন হতো। জাতীর পিতার অবর্তমানে আজকে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন।

উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিদারুল ইসলাম অরুণ, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমন, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাদল পঞ্চায়েত, যুগ্ম আহবায়ক মফিজুল ইসলাম মঞ্জু তালুকদার, আ.ন.ম শাহ জামাল দুলাল, পৌর যুব লীগের সভাপতি মোঃ ফরহাদ হোসেন মেহেরসহ আরও অনেকে।