1. admin@upokulbarta.news : admin :
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ দোকান নির্মাণ বিটিএর বামনা উপজেলার সভাপতি অঞ্জন চ্যাটার্জি এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান কোরআনের পাখিদের ফ্রি-তে উন্নত খাবার খাওয়ান হোটেল ব্যবসায়ী হালিম জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পদ প্রত্যাশী প্রমির উদ্যোগে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন পরকীয়ার টানে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও ভোলায় ৩ সন্তানের জননীকে এসিড নিক্ষেপ নাটোরের সিংড়ায় রাতের খাবার খেয়ে দুই বোনের মৃত্যু বেগম জিয়া’র সুস্থতা ও শফিকুল হক মিলনের জন্মদিনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল রাজশাহী তানোরে নাশকতার অভিযোগে ৪ জামায়াত কর্মী সমর্থক আটক ফকিরহাটে মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

অনাবৃষ্টিতে ব্যাহত আউশ চাষ

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
  • ৯১ বার পঠিত

জেএম. মমিন, বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে অনাবৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে আউশ চাষ। তীব্র খরা, অনাবৃষ্টি ও পানি সংকটের কারণে জমিতে পানি না থাকায় ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। মৌসুমের শুরু থেকে তীব্র খরায় আউশের অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আউশ চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার প্রান্তিক চাষিরা।
সারাদেশের মতো উপকূলীয় এ জেলায় আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় কেউ কেউ পুকুর ও খাল থেকে পাম্প মেশিনে পানি সেচে আউশের চারা রোপন করছেন ৷ চারা রোপনের মৌসুম প্রায় শেষ হলেও বেশির ভাগ চাষির জমি এখন অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে ৷ বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখা যায় এবছর এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ জমি অনাবাদি ৷
দেউলা ইউনিয়নের কৃষক সালেম মাতাব্বর, কয়ছর ও মফিজল হক সহ অনেকে জানান, পুকুর থেকে পানি দিয়ে বীজ বপন করেছিলাম ৷ এখন ক্ষেতে রোপন করার সময় ৷ কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় ক্ষেত শুকিয়ে আছে ৷ পানির অভাবে এখনো জমিতে হাল দিতে পারেনি। তাই আউশের চারা রোপন করতে পারছিনা ৷ অনাবৃষ্টির কারনে পুকুরের পানিও শুকিয়ে গেছে ৷ তাই আমাদের জমি অনাবাদি পড়ে আছে ৷ তারা আরও জানান, মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হয় তাতে জমিও ঠিক মতো ভেজে না ৷
সাচড়া ৬নং ওয়ার্ডের রহমান সিকদার জানান, পুকুর থেকে পানি সেচে ৩ মন আউশ ধানের বীজ বপন করেছিলাম ৷ পরে তীব্র খরায় তা পুরো নষ্ট হয়েগেছে ৷
একই ওয়ার্ডের সেরাজল মাল ও ইউনুছ জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় খাল থেকে পানি সেচে ধানের চারা রোপন করেছি ৷ এখন জমি শুকিয়ে ফেটে আছে ৷ ভালো করে বৃষ্টি না হলে তা নষ্ট হয়ে যাবে ৷
বড় মানিকা ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রনি জানান, অনাবৃষ্টির ফলে বীজ তলা তৈরি ও ধানের চারা রোপনে চাষিদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ চারার বয়স বেড়ে যাওয়ায় রোপণের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে । তিনি আরো জানান, মাঝে মধ্যে হলকা বৃষ্টি হয় তাতে ক্ষেতে ধান রোপনের উপযোগী হয় না ৷ তাই কেউ কেউ খাল এবং পুকুরের পানি দিয়ে চারা রোপন করছেন ৷
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি সংরক্ষণ কর্মকতা মোঃ ফিরোজ আলম জানান, গত বছর ৭ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে ৷ এবছর লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৮শত ৫০ হেক্টর ৷ বৃষ্টি না থাকায় বেশির ভাগ কৃষক জমিতে হাল দিতে পারেননি। এতে চারা রোপণ সম্ভব হচ্ছেনা ৷ তাই এবছর আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম জমিতে আউশ চাষ হবে ৷
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবীর জানান, বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় ভোলায় আউশ চাষের জন্য সেচ ব্যবস্থা চালু হয়নি।তাই খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে এখানকার চাষিগন আউশ চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন ৷

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা