আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা প্রতিনিধিঃ

বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সারা দেশের ন্যায় ভোলা জেলা শহরে বিএনপি’র পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

পদযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকে ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জেলা কার্যালয়ে এসে জড়ো হতে থাকে। সকাল ১১টার দিকে বিএনপির জেলা কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, যুগ্ম- আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিউর রহমান কিরন, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকউল্লাহ তালুকদার, ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশিফ আলতাফ সহ প্রমূখ।

এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সহ দেশব্যাপী বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের, সরকারের পদত্যাগ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদ্যুৎ-গ্যাস, চাল-ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, দমন-নিপীড়ন বন্ধ করা, সহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা’ দাবি জানিয়ে বলেন রাজপথে থেকে বিএনপির সকল কর্মসূচী ও আন্দোলন সংগ্রাম সফল করার প্রতিজ্ঞা করেন।

তারা আরো বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের নিপীড়ন, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রীদের নির্যাতন সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

সমাবেশ শেষে কালীনাথ বাজারে অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফ্যাস্টুন নিয়ে শহরে পদযাত্রা শুরু করে খলিফাপট্টি মসজিদের সামনে গেলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। সেখানেই তারা অবস্থান নিয়ে সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে। সেখান থেকে আবারো জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ করে তারা। তবে পুলিশের বাঁধায় কোনো অপৃত্বিকর ঘটনা ঘটেনি।

যে কোনো প্রকার সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশের সতর্কতামূলক অবস্থান লক্ষ করা গেছে।