1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ডর্‌প আয়োজিত সিএসও/ সিবিও এবং এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ক ওরিয়েনটেশন অনুষ্ঠিত।

Tarun Kanti Das
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২
  • ১৬২ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডর্‌প গত ২৩ মার্চ, ২০২২ তাদের ভোলা জেলা অফিসে ২০ জন সিএসও/সিবিও ও এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ক ওরিয়েনটেশন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ওরিয়েনটেশন সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  মো: আবু তাহের, প্রাক্তন সভাপতি ভোলা প্রেস ক্লাব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  মো: হাফিজুর রহমান, ব্রাক জেলা প্রতিনিধি।

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রেক্ষিতে তামাককর বৃদ্ধি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং কর বৃদ্ধি হলে-প্রায় ১৩ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান হতে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে, ৮ লক্ষ ৯৫ হাজারের অধিক তরুন ধূমপান শুরু করতে রিুৎসাহিত হবে, ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার তরুন ও জনগোষ্ঠির অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: আবু তাহের বলেন,বিড়ি বা তামাকজাত দ্রব্য জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

এই শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। তাই তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি করা অবশ্যই প্রয়োজন। তামাক কর বৃদ্ধি করা হলে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব হবে,প্রাপ্তবয়স্ক ও তরুন ধুমপান থেকে নিরুসাহিত হবে।

ব্রাক জেলা প্রতিনিধি জানান, “বিড়ি ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে ক্ষতি নানামূখী। যিনি ধূমপান করেন কিংবা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করেন তিনিই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হন না, তার চারপাশের মানুষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডর্‌প যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তার সাফল্য কামনা করি। আশা করছি বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের সাথে থাকবেন।”

উল্লেখ্য, ডর্‌প আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত, অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিষয়গুলো তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি বিষয় অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়। ভোলায় নিয়ে আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশী বিড়ি,সিগারেট ও তামাক জাত দ্রব্য বেশী সেবন করছেন। যার কারনে তাদেও অর্থনৈতিক অপচয় হচ্ছে তেমনী শরীর ও স্বাস্থের ক্ষতি হচ্ছে।তবে সরকার যদি বিড়ি,সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যেও উপর কর ও মুল্য বৃদ্ধি কওে তাহলে নিন্ম আয়ের মানুষ এটি কম পরিমানে সেবন করবে।আর তখন নিম্ন আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক অপচয় কম হবে এবং শরীর ও স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। ডর্‌প এর ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ব্যাপারে তাদের ধারণা দেওয়া হয়।

এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে। অথচ টোব্যাকো এটলাস ২০২০ এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে। তামাক ব্যবহারকারীদের তামাকজনিত রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, সিওপিডি বা ফুসফুসের ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ৫৭% বেশি। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তাই তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা