1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শোক সংবাদ।। ”কুমিল্লা সদরের মৌলভীনগর গ্রামে বইছে শোকের ছায়া” ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৫টি কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভা ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপন দাশ লালমোহনে ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকির অভিযোগ সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ৩০ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ এর পৌর ৩নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন ভোলা সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহা চৌধুরী হাঁস প্রতিকে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন

গরুর পেটফাঁপা রোগে করণীয় । ডাঃ অরুন সিনহা

ডাঃ অরুন সিনহা, পরিচালক , কৃষি ও প্রাণী সম্পদ বিভাগঃ
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৭৯১৮ বার পঠিত

ডাঃ অরুন সিনহাঃডিভিএম,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।

গরুর পেটফাঁপা একটি সাধারণ সমস্যা। নানা কারণে গরুর পেটফাঁপা হয়ে থাকে। বিশেষ করে খাদ্যে কোনপ্রকার সমস্যা হলে গরুর পেটফাঁপা দেখা দেয়। আসুন জেনে নেয়া যাক গরুর পেটফাঁপা হলে কি উপায়ে সমাধান করা যায়-

ব্লোট বা পেট ফাঁপা কি?

এটা গবাদী প্রাণীর একটি রোগ যা পাকস্থলিতে অতিরিক্ত গ্যাস বা তরল পদার্থ জমার কারনে ফুলে উঠে ।

কারণঃ

যখন প্রাণী কচিঘাস, ঘন চারণভূমিতে উচ্চ হারে লিগিউম সমৃদ্ধ ঘাস (নেপিয়ার, পারা, জার্মান) খায় ঠিক তখনি রোমন্থক পশু গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদির ব্লোট বা পেট ফাঁপা রোগ দেখা দিতে পাড়ে।

শিম জাতীয় ও দ্রুত বর্ধনশীল কিছু ঘাস বুদ বুদ বা ফেনা সৃষ্টি করে। এই ফেনা রোমিন গঠন হলে তা, রুমেনের গ্যাসকে ছোট ছোট বুদবুদের মধ্যে আটকে ফেলে যার কারণে পশু গ্যাস ঢেকুর দিয়ে বের করতে পারেনা। আর এসবের কারণেই গরুর পেট ফাঁপা দেখা দেয়।

বেশী পরিমাণে দানাদার খাদ্য খেলে এ সমস্যা হতে পারে।

অপরিপাক বা অস্বাস্থ্যসম্মত কোন খাবার খেলে অথবা খাদ্য নালীতে কোন ব্লক সৃষ্টি হলে এ সমস্যা হতে পারে।যেমন পচাঁনো ভাত, কাঠালের শাস ইত্যাদি ।

গরু সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণ প্রদর্শন করতে পারে:

  • বাম পেটের আকার বৃদ্ধি পায়
  •  ক্ষুধা মন্দা
  • নড়াচরা করতে অপারগতা প্রকাশ
  • কণ্ঠস্বরে বিকৃত হয়
  • চোখ ফুলে যায়
  • পেটে পা দিয়ে আঘাত করে ।
  • প্রস্রাব পায়খানা করার জন্য চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়।
  • দ্রুত শ্বাস কার্য চালায়
  • মুখ খোলা রেখে জিহ্বা বের করে দেয়।
  • মাটিতে পড়ে যায়, এবং
  • নাড়ী – ভুরি গ্যাসের চাপে ফুলে যাওয়ার কারণে তা ফুসফুস, হৃদপিন্ডে চাপ প্রদান করে রক্ত চলা চলে বাধা দেয় এতে প্রাণীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে।
রোগ নির্ণয়ঃ

ইতিহাস ও লক্ষণ সমুহ দেখে এবং পেটে বাড়ি দিলে ডেপ ডেপ শব্দ শুনে রোগ নির্ণয় করা হয়।

গরুর চিকিৎসাঃ
প্রাথমিক অবস্থায় এন্টি ব্লোট প্রিপারেসন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়।

    ঔষধ খাওয়ানোর পর পশুটিকে নরাচরা করতে উৎসাহিত করতে হবে যাতে করে, এন্টিব্লোট প্রিপারেসন টি ভালভাবে         রুমেনের গ্যাসের সাথে মিশে যেতে পারে।

মাঝারি ধরণের আক্রান্ত হলেঃ-
  • যত দ্রুত পারা যায় একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
  • গরু যদি বেশপরিমাণে গ্যাসের কারণে কাহিল হয়ে যায় তাহলে স্টোমাক টিউব এর মাধ্যমে রুমেন থেকে গ্যাস বের করে দিতে হবে।
  • গরুকে ডোজ দেওয়া হলে খেয়াল রাখতে হবে যাতে গরু এক জায়গায় স্থির না থাকে প্রয়োজনে গরুকে একটু হাটাতে হবে।
মারাত্মক ভাবে ব্লোট বা ফাঁপা পরিলক্ষিত হলেঃ-
  • গরুর পেট ফাঁপা শুরু হলে যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস বের করে দিতে হবে।
  • যদিও চিকিৎসা পদ্ধতি বা কি পরিমাণ , কিভাবে ঔষধ ব্যবহার করতে হয় তা ঔষধের গায়ে লিখা থাকে তারপরও চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া ভাল।।
  • মারাত্মক অবস্থায় , সয়াবিন তেল ২৫০-৫০০ মিলি লিটার বা প্যারাফিন তেল ১০০-১৫০ মিলি লিটার খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
  • অনেকে সময় ট্রকার ও কেনুলা করায় যথেষ্ট হয় না। সে জন্য পরিষ্কার ও জীবাণু মুক্ত ধারালো ছুরি দিয়ে ১০ থেকে ২০ সেঃমি এর মত কাটতে হবে এবং ফ্রদি উপাদান গুলি হাত দিয়ে বের করে ফেলতে হবে।
  • অতি মারাত্মক অবস্থায়, একজন ভেটেরিনারিয়ানের জন্য অপেক্ষায় না থেকে মালিকে নিজ উদ্দোগ করতে হবে। এর পর ভেটেরিনারি চিকিৎসক এর সাহায্য নিয়ে পেট পরিষ্কার ও সেলাই করে নিতে হবে। প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা