1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত খানপুর মেইনরোডে মাদক ব্যবসা জমজমাট ॥ পুলিশ নিরব বৃষ্টির প্রত্যাশায় ভোলায় ইস্তেস্কা নামাজ আদায় কক্সবাজারের জেলে পরিবারের নারীদের প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করন সভা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে ওয়াশ মার্কেট সিস্টেম উন্নয়ন  বিষয়ক সভা ফকিরহাটে এসএসিপি প্রকল্প পরিদর্শনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইফাদ আলিপুরে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জিয়াউল ইসলাম জিয়ার মোটরসাইকেল প্রতীকে গণসংযোগ বন্দরে ছেঁচড়া আলমগীরের মাদক ব্যবসায় যুব ও কিশোররা বিপথগামী ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী তাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতারণ ভোলায় হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু

উন্নত স্যানিটেশন নিশ্চিত করি, করোনা ভাইরাস মুক্ত জীবন গড়ি

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৮৫ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ২০২২ এর প্রতিপাদ্য বিষয় সকলের জন্য নিশ্চিত হবে উন্নত জীবন এই প্রতিপাদ্যটির বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের বহুমুখী কাজ করতে হবে । শুধু র‌্যালী ও আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবেনা। আমরা স্বাধীনতা অর্জনের ৫১ বছরে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট কভারেজ অর্জন করেছি ৩৯% (তথ্য সূত্র ২০২০ সালের ইউনিসেপের জরিপ অনুযায়ী)। দেশের জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ মানুষ অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করছে । এরমধ্যে ৮% থেকে ১০% পরিবারের উপকরন ক্রয় করে টয়লেট ব্যবহার করার মত সামর্থ নাই । এই ৮% থেকে ১০% পরিবারের জন্য সরকার ঘোষিত ২০২০ সালের পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ে দারিদ্র সহায়ক কৌশল পত্রের আলোকে কর্ম পরিকল্পনা তৈরী করে বাস্তবায়ন করতে হবে ।

কারন ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ স্যানিটেশন কভারেজ করতে হলে সময় আছে ৮ বছর । আর এই কাজটি শুধু সরকারের উপর ছেড়ে দিলে চলবেনা । দায়িত্বশীল সকল প্রতিষ্ঠান সহ সচেতন মহলকে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে । যেমন আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি ভুমিকা রাখতে পারে । স্কুল, কলেজ মাদ্রাসাসহ প্রয় ৩ কোটির বেশি ছাত্র/ছাত্রীদের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও হাতধোয়ার কৌশল বিষয়ে সচেতনতার মাধ্যমে করা যেতে পারে । সেখানে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে । এই কাজ গুলি তদারকি করতে পারেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাগন।
স্যানিটেশন কভারেজের বিষয়ে গুরুতপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ গুলি একদিকে স্যানিটেশন খাতে বাজেট বৃদ্ধি করে হতদরিদ্র পবিারের মধ্যে টয়লেট উপকরন বিতরণের মাধ্যমে অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুবিধা নিতে আসা উপকারভোগীদের সাথে আলোচনা করে খোজ খবর নিয়ে তাদের বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট আছে কিনা? না থাকলে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও হাতধোয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া মাধ্যমে টয়লেট নির্মানসহ স্যানিটেশন কভারেজ অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদ্প্তর স্যানিটেশন কভারেজ ভুমিকা রাখতে পারে । যদিও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য উপকরন বিতরন ও নির্মান করতে দেখা যায় । টয়লেট উপকরন বিতরন বা নির্মানের কোন বাজেট বা উপকরন বিতরণ করতে দেখা যায় না । এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি সচেতনতামুলক কাজ ও যতাযথ কর্তপক্ষের নিকট হতদরিদ্র পরিবারের টয়লেট উপকরনের চাহিদা দিতে পারেন । উপজেলা পরিষদ অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য টয়লেট উপকরণ বিতরনের জন্য এডিপি ও অন্যান্য উন্নয়ন তহবিল থেকে বাজেট বরাদ্ধ করে বাস্তবায়ন করতে পারে। এবং আন্যান্য দপ্তরের মাধ্যমে সচেতনতা সহ খোজ খবর নিয়ে সহযোগিতা নিতে পারে । এভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার পারকল্পনা অধিদপ্তর তাদের কর্মীগন প্রতিদিন গ্রাম পর্যায়ে কাজ করে। কর্মীগন তাদের কাজের পাশা-পাশি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও হাতধোয়ার ডিভাইস নির্মানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মানে ভুমিকা রাখতে পারে এবং হাতধোয়ার ডিভাইসসহ হাতধোয়ার কৌশল শিখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর সকল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বা সমাজের অনগ্রসর মানুষের সাথে কাজ করে, তারা সচেতনতার মাধ্যমে স্যানিটেশন কভারেজ ভুমিকা রাখতে পারে । এই ভাবে এলজিএইডি, কৃষি ডিপার্টমেন্ট, মৎস্য ডিপাটমেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা ওশিশু বিষয়ক অধিদপ্তর সহ সকল সরকারী দপ্তর একযোগে কাজ করলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শতভাগ স্যানিটেশন কভারেজ করতে অনেক সহজ হবে বলে অভিঞ্জ মহলের ধারনা। অন্যদিকে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলি স্যানিটেশন কভারেজে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে । ডরপ ,ব্রাক, আশাসহ সকল এনজিওর শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে কার্যক্রম চালু আছে। তারা তাদের কর্মীর মাধ্যমে উপকারভোগীদের সচেতনতা করে গুরুত্বপূর্ন স্যানিটেশন ও হাতধোয়ার কভারেজ অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। পাশা পাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন সরকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নিদে পারে।

অভিঞ্জ মহল মনেকরে যেখানে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুরমত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব। শুধু তাই নয় দেশী ও বিদেশী অর্থায়নে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টার্নেল, রুপপুর পারমাবিক বিদ্যুত কেন্দ্রসহ বিশ^মানের অনেক অনেক কিছু আমাদের আছে। বর্তমান সময়ে টয়লেট বা স্যানিটেশনের এমন নাজুক অবস্থা কোন ক্রমেই কাম্য নয়। তারা মনে করেন এটা অমাদের অর্থের অভাব নয়। অলসতা বা নজরদারী না থাকার কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনের জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় বা অধিদপ্তর বা পরিদপ্তর নাথাকার কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ই পারে এই সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে স্যানিটেশন কভারেজ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা রাখতে এবং সকলের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা