ঢাকা বিমান বন্দরের একটি প্রবেশ পথ। ফ্লাইট নাম্বার অনুযায়ী আলাদা আলাদা গেট। কিন্তু এতে করে দেখা গেলো- একটি গেটে ব্যাপক ভিড়, কোনও কোনও গেট ফাঁকা, আবার অনেক গেট একেবারে বন্ধ! গেট ফাঁকা রেখে এমন ঠেলাঠেলির আয়োজন কেন? যা আশংকা করছিলাম সেটা সত্য হতে দেখতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না! লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের আশপাশে ঘুরছেন কয়েকজন, জানা গেলো- তাঁদের কিছু বখশিশ দিলে লাইন ছাড়াই ঢুকে যাওয়া যাবে! কয়েকজন গেলেনও। দেখলাম, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের লোকটি এবং আনসার সদস্যদেরকে তিনি গিয়ে একটু ইশারা দিতেই খুলে যায় দড়ি! হায় বাংলাদেশ!
আজ সকালে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের যাত্রীই বেশি দেখলাম। এদের জন্য কোন ‘যাত্রী সেবা’ আছে বলে মনে হলো না। চিৎকার- চেচামেচি-ধমক দিয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন সবাই। মনযোগ দিয়ে অবশ্য খেয়াল করলাম, এই প্রবাসী ভাইবোনদেরকে ঠিকঠাক সেবা দেওয়াটাও খুব কঠিন! এক কথা বুঝিয়ে বলতে হয় অনেকবার, আর নিয়ম কানুন মানার ব্যাপারেও অনীহা এই যাত্রীদের মধ্যে প্রচণ্ড! সম্ভবত ভিনদেশে কঠোর নিয়ম কানুনের মধ্যে থেকে নিজ দেশে তাঁরা ইচ্ছেমতো বিশৃংখলা করে মনের ঝাল মেটান! তবে বিদেশগামী ভাইবোনদের জন্য বিমানবন্দরের ভিতরেও যদি ২০ মিনিটের একটা সেশন নেওয়া যেতো, তবে আলাদা আলাদা করে সবাইকে বুঝিয়ে বলার হয়ত প্রয়োজন হতো না। কিন্তু সমস্যা সমাধানের চেষ্টা কে করবে? সমস্যা থাকলেই যে সুবিধা আদায়ের সুযোগটা থাকে।