1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

উপকূলের জেলেদের সুরক্ষায় সরকার চালু করছে ডিএমএসসি ডিভাইস!

মোবাশ্বের আলম
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
  • ১৯৪ বার পঠিত

 চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের জেলে সম্প্রদায় পেশা আজ ঝূঁকিতে। জেলে নয় এমন ব্যাক্তিদের জেলে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে, প্রকৃত জেলেদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং তালিকা তৈরির সময় জেলেদের প্রতিনিধিদে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে, সমুদ্রগামী প্রতিটি মাছ ধরার ট্রলারে জীবন সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, এছাড়াও সমুদ্রগামী জেলেদের সঠিক অবস্থান দিক নির্নয় করতে পরীক্ষামূলকভাবে অতি দ্রæত ডিভাইস [গেøাবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন] (জিএসএমসি) প্রদান করা হবে যার মাধ্যমে খুব সহজেই তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা যাবে। এর ফলে ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
৮ আগস্ট রোজ সোমবার সকাল ১১টায় কৌস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “জলবায়ু বিপদাপন্ন উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায়ের সরকারি সুরক্ষা সেবায় প্রবেশাধিকার ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: মারুফ হোসেন মিনার এ সব কথা বলেন।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের এম.এ. হাসানের সঞ্চলনায় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি), আবদুল মতিন খান, চরফ্যাশন উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সভাপতি ও “বাংলাদেশ প্রতিদিন” চরফ্যাশন(ভোল) প্রতিনিধি এম.আবু সিদ্দিক,কোস্ট ফাউন্ডেশন সি,জে,আর,এফ প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান, চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ নান্নু মিয়া,কালের কন্ঠের সাংবাদিক কামরুল সিকদার,আজকের দর্পণ পত্রিকার সাংবাদিক নুরুল্লাহ ভুইয়া, এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রান্তিক জেলে সম্প্রদায় ও তাদের প্রতিনিধি, ট্রলার মালিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন ইউনিয়ন ভিত্তিক নিবন্ধিত জেলে তালিকায় গড়ে প্রায় ১০-১৫%
যেহেতু সব জেলের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় না সে কারণেই বরাদ্দে বিরাট ফাঁকফোকর রয়ে যায়। চরফ্যাশন উপজেলার
১৮টি মাছ ঘাটে প্রায় ১৯শ থেকে ২ হাজার যন্ত্রচালিত মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে যেগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫ ফুট
সরকারি নিয়মানুযায়ী ৯০% ট্রলারেই নেই প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী, ফলে বাড়ছে ক্ষয়-ক্ষতি,গত ৬ বছরে
প্রায় ১০১ জন জেলের প্রানহানি ঘটেছে।সংলাপে বক্তারা দাবী করেন সকল জেলেদের নিবন্ধেনের আওতায় আনতে হবে এবং
জেলে নয় এমন ব্যাক্তিদেন তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। সকল প্রকার মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিবন্ধনের আওতায়
আনতে হবে এবং নিয়মানুয়ী প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করতে হবে, চলমান প্রেক্ষাপট
বিবেচনায় মাছধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাসিক ভাতা হিসেবে নুন্যতম প্রতি জেলে
পরিবারের জন্য ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

প্রধান অতিথি সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যে সকল ট্রলারে সুরক্ষা সামগ্রী থাকবেনা সেগুলো বন্ধ করা যেতে পারে, প্রান্তিক জেলেদের সুরক্ষা ও জীবন মান উন্নয়নে সরকারি কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিদের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। জীবনের সুরক্ষায় জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে সামুদ্রিক মৎস আইন না মানলে নেওয়া হবে আইনী কঠোর ব্যবস্থা। জেলে ও ট্রলার সুরক্ষায় সরকার জিএসএমসি ডিভাইস চালু করেছে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নৌকা ও জেলে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। আলোচনা সভা শেষে ক্ষুদ্র জেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা প্রায় ৩ হাজার ৯৪৬জন অনিবন্ধিত জেলের তালিকা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা