বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার

কোস্ট ফাউন্ডেশন বরিশাল এর উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচীতে সকাল ৯:০০ ঘটিকায় সময় কোস্ট ফাউন্ডেশনের বরিশাল আঞ্চলিক অফিসের প্রশিক্ষণ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জহিরুল ইসলাম সভার সভাপতিত্বে  সভায় উপস্থিত ছিলেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের বরিশাল সদরের এরিয়া ম্যানেজার  আতিকুল ইসলাম ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সমীর হালদার দিবসটি সম্পর্কে মোঃ আতিকুল ইসলাম  বক্তব্য প্রদান করেন যে, স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর অবদান বাঙ্গালী কোনো কালেও ভুলবে না। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তার নের্তৃত্ব ছিলো অতুলনীয়। তিনি বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা। স্বাধীন বাংলার স্থপতি। ১৯২০ সালে তার জন্ম তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নের্তৃত্ব প্রদান করেছেনসভায় উপস্থিত সকলে সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য প্রদান করেন।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক  জহিরুল ইসলাম  বলেন যে, বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম যার বাল্যকাল থেকে নের্তৃত্ব প্রদানের গুন রয়েছে। সে ছোটবেলায় তার সহপাঠীকে নিজের বই, জামা বিতরন করেছেন। তার পরিবারই নের্তৃত্ব সম্পন্ন পরিবার ছিলো পরিবার থেকে সহযোগীতা না পেলে সফল নের্তৃত্ব প্রদান অনেকটা কষ্টকর হয়। তিনি তার পরিবারের বাবা, মা, স্ত্রী সকলের নিকট থেকে সহযোগীতা পেয়েছেন। যা নের্তৃত্বের জন্য সহযোগী হয়েছে। তার ঘোষনা তার জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষনতা, সাহসিকতার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছে।  সভা শেষে বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে কর্মীগণ পুষ্প অর্পন করেন ।

বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শঅখার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টিও সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাঙ্গিালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।

তিনি ১৯৫২ সালের ভঅষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্থুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না কওে বাঙ্গালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চেও ভাষনে স্ধাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিষ্ট্রারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ^ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেএবং তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিয্দ্ধু শুরু হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধেও মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীর বহু আকাঙ্খিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। অতঃপর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্য সহ নিহত হন।