ভোলার লালমোহন থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেয়া রাশেদা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রাম থেকে পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে।
লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক এনায়েত হোসেন ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফাঁস নেয়া রাশেদা বেগম ওই গ্রামের দিনমজুর রুবেল হোসেনের স্ত্রী। পারিবারিক জীবনে রাশেদা অসুখী ছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য ছিল। প্রায়ই নানান বিষয় নিয়ে রুবেল রাশেদাকে নির্যাতন করত।
পুলিশ, মৃত রাশেদার ছেলে ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে এ বিষয়ে ঢাকা মেইল কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছে, রাশেদার সঙ্গে বিয়ের পর থেকে রুবেলের মনোমালিন্য ছিল। রুবেল কারণে-অকারণে টাকাপয়সা নষ্ট করত। এতে রাশেদা বাধা দিত। এ-কারণে তাদের দু’জনের মধ্যে সাংসারিক জীবনে দুরত্ব সৃষ্টির পাশাপাশি মনোমালিন্য ছিল। সম্প্রতি রুবেল বাড়ির গরু-ছাগল বিক্রি করে একটি দোকান দিতে চেয়েছিল। এতে স্ত্রী রাশেদা রাজি হয়নি। এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে ঘটনার ঘন্টাদেড়েক আগে ঝগড়াঝাটি হয়। এরপর রুবেল দুপুরের দিকে মাঠে ছাগল নিয়ে যায়। এ ফাঁকে স্ত্রী রাশেদা বেগম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। দুপুরের দিকে রাশেদার ছোট ছেলে এনামুল ঘরে ভাত খেতে গিয়ে দেখেন তাঁর মা রাশেদা বেগম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন গিয়ে রাশেদার নিথর দেহ নিচে নামায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।