সুখ-সারি বাসা বেঁধে ছিলো যমুনার জলে। কাব্য সাথে তরী’র সম্পর্ক হবার নয়, দৈব ক্রমে জড়িয়ে যায়। কাব্য ডেকে এনেছিলো বসন্তের উত্তাল হাওয়া। ফেলে আসা সময়ের মুহূর্ত গুলো জাগিয়ে দেয় ঘুমন্ত পুরীতে। কৈশোরের দুষ্ট মন ফিরে আসে তরীর স্বপ্ন পুরীতে। ছুঁয়ে যায় জোছনা নদীর ভরা যৌবন। গহীণ অরণ্যে বেজে ওঠে শিষ। গোধূলির মায়া আঁকড়ে ধরে দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণ।
শুরু হয় পথচলা, অন্তিম যাত্রা অবদি পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি তে ভাস্কর্য এঁকে দেয় তরীর বক্ষে। হাওয়ায় ভেসে চলা পাল নাবিকের হাতের মুঠোয়। বন্ধুত্ব কিংবা প্রেম শুরু ‘র দিকটা যতটা মধুর, ঠিক ততোটাই নরক যন্ত্রণায় মৃত্যু’র অপেক্ষায় অপেক্ষমান নিঃসঙ্গ পথিক- বাসন্তী ঘামের নীল চিঠি, ক্রমাগত জমে পড়ে অভিযোগ কেন্দ্রে। সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান, আশা-নিরাশার গল্প জমা হয় । কাব্য ‘র অবস্থান তখন ছায়াসঙ্গী হয়ে।
তরী কাব্য জীবনে আসার আগে কিংবা পরে বহু নারী তার জীবনে জোয়ার ভাটায় চলে গেছে। তরী যখন তার জীবনের প্রথম ধাপে তখন তরী তার মৃগমায়া। তার রূপ,গুনে আকৃষ্ট। তরী তার জীবনের শক্তি আগামীর পথে। স্বপ্ন পূরণের অবলম্বন, মানসিক সার্পোট। তরীর অবস্থান কালে প্রেমে পড়া,বন্ধুত্বে দাবীতে জড়িয়ে যায় ফাইজা নামের মেয়েটির সাথে। তখন থেকে মনে হয়, তরী তার বন্ধু হতে পারেনি —– চলবে
রওশন জাহান মাসুমা
২ জানুয়ারি ২০২৪