1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

তরমুজ চাষে ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের চাষিরা

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১২৯ বার পঠিত

জেএম.মমিন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা । প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন তারা ৷
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন ও অধিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন ৷ বিগত বছর থেকে বীজ, সার, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ বাড়লেও অধিক লাভজনক হওয়ায় এবছর চাষাবাদ বেড়েছে ৷
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর ১৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে ৷ এ বছর লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৭০ হেক্টর ৷ কিন্তু গত বছর চাষিরা ফলন ও বাজার দর ভালো পাওয়ায় তিন গুনের বেশি লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে তা হয়েছে ৭০০ হেক্টর ৷ যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৩০ হেক্টর বেশি ৷ পরিবেশ ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এর থেকে ৩৫ হাজার মেক্ট্রিকটন ফলন আসবে বলে আশা করছেন তারা ৷
উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের দরুন গ্রামের চাষি সিহাব মৃধা জানান,আমি এবছর ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি ৷ অন্যান্য বছর থেকে এবছর বীজ, স্যার ও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি ৷ এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন ও দ্বিগুন লাভের আশা করছি ৷
বাথান বাড়ী গ্রামের চাষি রিয়াজ মীর জানান, আমি ১৬ একর জমিতে বিট ফ্যামিলি, গ্রেড ওয়ান ও ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ করেছি ৷ ইতিমধ্যে গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে ৷
একই গ্রামের চাষি ফিরোজ সিকদার, আবু মূসা বিশ্বাস ও গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ইউছুফ হোসেন জানান, গত বছর চাষ করে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবছর আরো বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি ৷ প্রতি একর জমিতে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে ৷ ফলন ভালো হলে মূলধন উঠিয়ে দুই থেকে তিন গুনের বেশি লাভ করা যাবে ৷
উপজেলা কৃষি অফিসার এইচ এম শামীম জানান, এবছর ১৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৷ তা ছাড়িয়ে ৭০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে ৷ এর মধ্যে গঙ্গাপুর ইউনিয়ন ও তেতুলিয়া নদীর চরে ৪৫০ হেক্টর ও সাচড়া ইউনিয়নে ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে ৷ এখানকার মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী ও অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় অনেকেই তরমুজ চাষে ঝুকছেন ৷
তিনি আরো জানান, কৃষি উপকরণ দিয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে প্রদর্শনী করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেতের তরমুজ মাঝারি আকার ধারন করেছে ৷ আগামী এক মাসের মধ্যে চাষিরা বাজারে তরমুজ বিক্রি শুরু করতে পারবেন ৷ সকল চাষিকে কৃষি উপকরণ দিয়ে সহযোগীতার আওয়াতায় আনা না গেলেও মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে ৷
MD

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা