1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

নিরাপদ শুটকি ও স্বাস্থ্য আমাদের অধিকার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০৯ বার পঠিত
বারেকুল ইসলাম চৌধুরীঃ
কোস্ট ফাউন্ডেশনের অধীনে পিকেএসএফের আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শুঁটকিপল্লী কক্সবাজারের নাজিরারটেকে পরিবেশবান্ধব নিরাপদ শুটকি উৎপাদন প্রকল্পের (SEP) বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শুটকি কেন্দ্রিক ইকো-ট্যুরিজম ফ্যাসিলিটি এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদেরকে শুঁটকিপল্লীতে এসে নিরাপদ শুঁটকি ক্রয়ের পাশাপাশি নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করা এবং পর্যটকরা ইকো-ট্যুরিজম ফ্যাসিলিটিতে তৈরি করা শুঁটকির বিভিন্ন ধরনের রেসিপি থেকে স্বাদ নিতে পারবেন।
এছাড়াও, পরিবারের সদস্যসহ আগত পর্যটকরা এই মনোরম ও প্রাকৃতিক পরিবেশে অবসর সময় কাটানোর সাথে সাথে ট্রেডিশনাল শুঁটকি উৎপাদন এবং ফিশ ড্রায়ার ও মাচাঁ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে পারবেন।
নাজিরারটেকের নিরাপদ শুঁটকিকে আরো প্রমোট করার জন্য এটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটিই কক্সবাজারের মধ্যে সর্বপ্রথম শুঁটকি কেন্দ্রিক ইকো-ট্যুরিজম।
শুঁটকিপল্লীতে উৎপাদিত শুঁটকি ও মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় উচ্ছিষ্ট বর্জ্য সমূহ(ফেলে দেয়া অংশ-নাড়িভুড়ি, মাথা, আইশ ইত্যাদি) শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে নির্দিষ্ট উপাদান মিশ্রিত করে ফিড মিলের মাধ্যমে মাছ ও মুরগীর সম্পুরক খাদ্য তৈরী করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মাছের বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলে দেয়ার ফলে যে দূষণ হচ্ছে তা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং পাশাপাশি উক্ত বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমান সময়ে পরিবেশের সবচেয়ে ভয়াবহ একটি বিপর্যয়ের নাম হচ্ছে যত্র তত্র উচ্ছিষ্ট প্লাস্টিক ও পলিথিন। কক্সবাজারের নাজিরারটেকে চট্টগ্রাম থেকে ক্রয়কৃত কাঁচা মাছের প্যাকেজিং এ থাকা পলিথিন আগে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র পড়ে থাকতো। ফলে, নালাসহ রাস্তা, খাল এবং শুঁটকি পল্লীর পরিবেশ ব্যাপক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল। কোস্ট ফাউন্ডেশন এর এসইপি প্রজেক্টের সহায়তায় ব্যক্তি উদ্যোগে উক্ত পলিথিনসমূহ শুঁটকির খলা থেকে সরাসরি সংগ্রহ ও ক্রয়ের মাধ্যমে রিসাইক্লিং হাবে জমা করা হয়।
পরবর্তীতে, সংগ্রহকৃত পলিথিনসমূহ ভালোভাবে ধৌত করার পর শুঁকিয়ে বান্ডেল করে রিসাইক্লিং এর জন্য চট্টগ্রামের ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়। এর ফলে একই পলিথিন পুনরায় ব্যবহারের উপযুক্ত হচ্ছে এবং নতুন একটি কর্মক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে। নাজিরার টেকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের উক্ত কার্যক্রমের ফলে নিরাপদ শুটকি উৎপাদনের নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী হচ্ছে এবং শুটকি কেন্দ্রিক পরিবেশ বান্ধব নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে।
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা