1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভোলার মনপুরায় প্রকল্প অবহিতকরণ ও মতামত গ্রহন সভা ২শ কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ফকিরহাটের সোনাখালী গ্রামে আনারস প্রতীকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ফকিরহাট শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে দোয়া অনুষ্ঠান কবি মিনার মনসুর তরুণ সমাজের অনুপ্রেরনা-রেজাউল করিম চৌধুরী শোক সংবাদ।। ”কুমিল্লা সদরের মৌলভীনগর গ্রামে বইছে শোকের ছায়া” ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৫টি কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভা ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপন দাশ লালমোহনে ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকির অভিযোগ সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির

আওয়ামী লীগের কে হবেন সাধারণ সম্পাদক ও একটি গবেষণা প্রতিবেদন

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৪৪ বার পঠিত

মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহীঃ
“কূটনৈতিক রাজনীতি দেখভাল করা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বুদ্ধিবৃত্তিক পর্যায়ে মোকাবিলা করে কার্যকর নেতৃত্ব দেয়া, দলের সাংগঠনিক দিকটায় সফল হওয়া এবং আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখার মাধ্যমেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে”——-এমন বাস্তবতাকে সঙ্গী করে আসন্ন ডিসেম্বরে দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নতুন সাধারণ সম্পাদক কে নির্বাচিত হতে পারেন, তা নিয়ে জোর আলোচনা আছে ও চলছে। যদিও এমন খবরের প্রকাশনায় জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো একটু নীরব।
এদিকে গণমাধ্যমগুলোর অনেকেই প্রতিবেদন প্রকাশ করাটাকে ঝুঁকিমুক্ত হিসাবে দেখতে চাইছে না । কারণ, সাধারণ সম্পাদক হতে চাইবার লড়াইয়ে কার্যত অনেক নেতাই ইচ্ছেপোষণ করায়, জট পাকিয়ে ফেলেছে, বেড়েছে সংকট।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় সংবাদকর্মীরা দলিয় সংবাদ কর্মীর মত করে হওয়ায়, দেশের শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক দলের জন্য সেরা পর্যায়ের নেতৃত্বকে তাই তুলেধরত এক প্রকার উপেক্ষা করাই হচ্ছে জাতীয় গণমাধ্যমে। এটি স্পষ্ট হয়েছে। বিশেষত, যারা এই পদের জন্য লড়াই করছেন, তাদের অনুসারীর মত করে সংবাদকর্মীরাও হওয়াতে, তথ্য সরবরাহে কৃপণ থাকা হচ্ছে। গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদক কিংবা হেড অব নিউজেরাও বলা শুরু করছেন, আওয়ামী লীগ যাকে খুশী সাধারণ সম্পাদক করুক, আমাদের কারোর ব্যক্তিগত আক্রোশে পড়ার অর্থ নেই। সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের অনেকেই এবার সাধারণ সম্পাদক হতে চান। অথচ, যখনই তাদের সামনে যেয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে তাগিদ রাখা হচ্ছে, তখন ধরি মাছ না ছুই পানির মত করেই তাঁরা দায়সারা পর্যায়ের সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। কিন্তু, ভেতরের খবর ভিন্ন।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীপ্ত উচ্চারণে যেয়ে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে আগামী ডিসেম্বরে নতুন করে দল পুনর্গঠিত হবে, তা ঘোষণা করার পরও রহস্যজনক কারণে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো আওয়ামী লীগের আসন্ন নতুন কমিটি ও নীতি নির্ধারণ পর্যায়ের পদগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে মেতে নেই, তা বলাবাহুল্য।গবেষণা, অনুসন্ধান করতে যেয়ে সত্যান্বেষী সাংস্কৃতিক মন উঁকি দিয়ে জানান দিয়েছে, দলের দুই একজন নেতা চাইছেন, এই ইস্যুতে কোন আলাদা প্রতিবেদন করলে তাদের সাধারণ সম্পাদক পদ নিশ্চিত হয় না। বরং, প্রতিবেদনগুলোয় যৌক্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরলে তাঁরা সাধারণ সম্পাদকের পদের দৌড় থেকে ছিটকে পড়বেএদিকে এখন বাংলাদেশে কার্যত অতি মাত্রায় রাজনৈতিক উত্তাপ না থাকলেও, দেশের অপর বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও তাদের সমমনা সংগঠনের পক্ষ থেকে চেষ্টা একটা চলছে। একান্ন বছরের বাংলাদেশে কয়েকবার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল বিএনপি বলতে চাইছে, “আমরা ওয়ার্ম আপ করছি, খেলা হবে।”

বিএনপির কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর হতে বাংলাদেশ চলবে বিএনপি দলিয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কথায়।অন্যদিকে টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অতি সম্প্রতি এক সমাবেশে বিএনপির উদ্দেশে প্রতিউত্তরে বলেছেন, “আসুন, খেলা হবে।”খেলা হবে ! দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক সমাবেশগত বলিষ্ঠ উক্তি হিসাবে “খেলা হবে” জায়গা নিয়েছে। শুরুটা অবশ্য বরেণ্য রাজনীতিক এ কে এম শামসুজ্জোহা পুত্র সাংসদ শামীম ওসমানের মুখ থেকেই ফেরে। ❝খেলা হবে❞ ও এই উক্তির রাজনৈতিক শ্লেষ, সূত্রমতে, এপার বাংলা ছাড়িয়ে ওপার বাংলায় গিয়েও ঠেকেছিল।বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু করতে চায় তা স্পষ্ট। ১২ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করবে তাঁরা। ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার পর তাঁরা জানুয়ারী থেকে নাশকতার রাজনীতিকে সঙ্গী করবে, তা অনুমেয়।আওয়ামী লীগের জন্য তাই প্রাসঙ্গিক বাস্তবতায় আসছে ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নতুন নেতৃত্ব দ্বারা তাদের প্রধান ও প্রথম কাজ হবে, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মাঠ দখলের রাজনীতিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। কাজেই খেলা হবে, এমন উক্তি অর্থবহ প্রেক্ষাপটে আসন্ন, তা বুঝতে কারোর বাকিও নেই বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মত দিচ্ছেন।
যদিও ক্ষুরধার বিশ্লেষণ ও ব্যাখায় যেয়ে রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকারদের অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের দ্বিদলিয় রাজনৈতিক শক্তির মধ্যকার আর খেলা অনুষ্ঠিত হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও খেলা খোদ আওয়ামী লীগের মধ্যেই চলছে। তাঁরা বলছেন, “খেলা হবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার লড়াইয়েও।” —- এমন মত কিংবা আলোচনা রয়েছে আওয়ামী লীগের কয়েক কোটি নেতাকর্মীদের মাঝেও।

এদিকে প্রখ্যাত কলাম লেখক প্রয়াত সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী রাজনৈতিক ধারাভাষ্য দিতে যেয়ে গেল একযুগে বারবার করে বলেছেন যে, “দলের জন্য, দেশের জন্য এবং বৈশ্বিক সমঝোতা- সমন্বয় মিলিয়ে দলের লেজেন্ডারি রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সব দিক আগলিয়ে রাখার জন্য শ্রেষ্ঠ সত্তা, তাই সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও অন্যদের কাজও সহজ হয়ে যাচ্ছে বা যায়।কলামিস্ট আয়শা সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে লিখিত ধারাভাষ্যে বলেন, ” টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সামনে সাতটি চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের সমর্থিত রাজনৈতিক শক্তিকে মোকাবিলা করা। দুই নম্বর চ্যালেঞ্জ হল, বৈশ্বিক শক্তির চাপ সামলিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। তিন-এ রয়েছে জনশ্রেণির আস্থা অর্জনে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। চার, অভ্যন্তরীণ সংকট কাটিয়ে ক্রেডিবল একটি কাউন্সিল বা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলকে পুনর্গঠন করা। পাঁচ নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে আওয়ামী লীগের সামনে রয়েছে রাজনৈতিক জোটকে পুনরায় গুরুত্ব দিয়ে সমমনাদের মূল্যায়ন করার বিষয়টি। ছয় নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দলটির সামনে রয়েছে- প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সে সব আমলাদের শনাক্ত করা, যারা একটি বিশেষ শক্তির স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে বা

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা