1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
২শ কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ফকিরহাটের সোনাখালী গ্রামে আনারস প্রতীকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ফকিরহাট শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে দোয়া অনুষ্ঠান কবি মিনার মনসুর তরুণ সমাজের অনুপ্রেরনা-রেজাউল করিম চৌধুরী শোক সংবাদ।। ”কুমিল্লা সদরের মৌলভীনগর গ্রামে বইছে শোকের ছায়া” ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৫টি কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভা ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপন দাশ লালমোহনে ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকির অভিযোগ সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

ভারত যেভাবে অস্ত্র দিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করছে-রেজাউল করিম চৌধুরী

ডেস্ক রিপোর্ট 
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
  • ১৩৪ বার পঠিত

                            ভারত যেভাবে অস্ত্র দিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করছে
(গত ২৫ মে Dhaka Tribune এ প্রকাশিত How India is supporting Myanmar’s military with arms শীর্ষক প্রতিবেদনের ভাবানুবাদ, by Mujibul Haque Munir)
সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বেসরকারী বেশ কিছু কোম্পানি মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে অস্ত্র ও কাঁচামাল সরবরাহ করছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কিছু সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সামরিক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে কমপক্ষে ৫১ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, কাঁচামাল সরবরাহ করেছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারত ভিত্তিক মোট ২২টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সরকার বিরোধীদের উপর সামরিক বাহিনীর সহিংসতা চলাকালেই জান্তাকে অস্ত্র পাঠিয়েছে। সরবরাহকারী এসব সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে ভারত ডায়নামিক্স, ভারত ইলেকট্রনিক্স এবং ইয়ন্ত্র ইন্ডিয়াসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা। অন্যদিকে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে সন্দীপ মেটালক্রাফ্ট এবং লারসেন অ্যান্ড টুব্রো।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, মিয়ানমারে ভারতের এই ধরণের উপকরণ সরবরাহ ক্রমাগত বাড়ছে। এসব উপকরণ নজরদারি করার শক্তিসহ আর্টিলারি এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। মিয়ানমারে এই ধরনের অন্ত্র সরবরাহ প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। ভারতকে তাই সচেতন হওয়া উচিত যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে যে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে তা তুলনামূলকভাবে সীমিত হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ কমিশনে তা বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বাধীন জান্তা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতনের পর থেকে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারত ছাড়াও রাশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে। রাশিয়া, চীন এবং সিঙ্গাপুর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থার প্রধান সরবরাহকারী। সর্বশেষ অভ্যুত্থানের পর থেকে রাষ্ট্রীয় এসব দেশের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্র সরবরাহের পরিমাণ যথাক্রমে ৪০০ মিলিয়ন, ২৬০ মিলিয়ন এবং ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
জাতিসংঘ তার এই প্রতিবেদনটিতে অস্ত্র প্রস্তুতকারী ইয়ন্ত্র ইন্ডিয়া লিমিটেডকে অক্টোবরে মিয়ানমারে অস্ত্রের জন্য ১২২ মিমি ব্যারেল পাঠানোর অভিযোগ করেছে। ৩৩০,০০০ ডলার মূল্যের ব্যারেলগুলি ইয়াঙ্গুন-ভিত্তিক ইনোভেটিভ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড এ পাঠানো হয়েছিল, যা মিয়ানমারের সামরিক অস্ত্র সরবরাহকারীর মালিকানাধীন।
সামরিক সরবরাহের মাধ্যমে মিয়ানমার জান্তাকে ভারতের সাহায্য ও সমর্থনে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতাকর্মীরা বিস্মিত হয়েছে। মায়ানমার পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জাও তুসেং বলেন, ‘ভারত, এই এলাকার বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে পরিচিত, সামরিক জান্তার সাথে সম্পর্ক রেখে দেশটি তার বিপরীতমুখী নীতি অব্যাহত রেখেছে, অথচ মিয়ানমার ভারতের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার নয় এবং এই সম্পর্ক সাময়িক সমযের জন্যও ভারতের কোনও স্বার্থ পূরণ করে না। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন যে, নয়াদিল্লি এবং মিয়ানমার জান্তার মধ্যে সম্পর্ক সেখানে চীনের প্রভাব প্রতিরোধে কোনও কাজে আসবে না।’
মায়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো জাও ও বলেছেন, ভারত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে জেনে তিনি হতবাক। এনইউজি হলো নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের দ্বারা গঠিত নির্বাসিত সরকার। ‘মিয়ানমারের জনগণ এটি মনে রাখবে এবং এটি দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। ভারতের সরকারের উচিত আমাদের জনগণের ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষাকে অদূরদর্শী ব্যবসায়িক স্বার্থের পরিবর্তে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।’
চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) নেতা সুই খারের মতে, ভারত মিয়ানমারে চীনের প্রভাবকে হুমকি হিসেবে দেখে। ‘তাই সামরিক জান্তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা আসলে একটি ভুল কৌশল। । এটি কাজ করবে না। তাতমাডো (মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা) দেশের একমাত্র স্টেকহোল্ডার নয়, এবং যত তাড়াতাড়ি নয়াদিল্লি এটি বুঝতে পারবে, ততই মঙ্গল।’
গত দুই বছরে চিন রাজ্য এবং সাগাইং অঞ্চলের হাজার হাজার যোদ্ধা সশস্ত্র সংগ্রামে যোগ দিয়েছে এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। চিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সালাই আইজ্যাক খেন বলেন, ‘জনগণের অধিকার চূর্ণ করা হচ্ছে। নয়াদিল্লির উচিত এই ধরনের অস্ত্র হস্তান্তর ও বিক্রির নৈতিক প্রভাব বিবেচনা করা।”
ভারত অবশ্য মিয়ানমারে অস্ত্র সরবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে। ভারতীয় প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের প্রতিবেদককে বলেছিলেন, যে মিয়ানমারে সরবরাহ করা অস্ত্রগুলি অভ্যুত্থানের আগে বেসামরিক সরকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি অংশ ছিল এবং নয়াদিল্লির নিজস্ব অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উদ্বেগের আলোকে রপ্তানি করা হয়েছিল। ভারত কখনোই মিয়ানমারের কাছে অস্ত্রের প্রধান উৎস ছিল না এবং এখনো নয়, এবং ভারত আমাদের অতীতের বাধ্যবাধকতা পূরণ করে আসছে। আমাদের রপ্তানি খুব স্পষ্টভাবে যাচাই করা হয়েছে। আমরা মিয়ানমারের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, ৬ মার্চ পর্যন্ত মিয়ানমারে আনুমানিক ১,৭০৪,০০০ মোট অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি রয়েছে।
ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের মতে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে অন্তত ২,৯৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আরও ১৭,৫৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৩,৭৬৩ জন এখনও কারাগারে রয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা