টি আই অশ্রুঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে পূর্ব নওমালা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সহ খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে থেকে জানা যায়, কালাইয়া রব্বানীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০:১০ মিনিটের সময় লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে বেলা ১১টার দিকে শেষ হয়। এরপরই জুম্মার নামাজের আগেই ভাইভা পরীক্ষা শেষ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ বোর্ডের সহকারি পরিচালক লুৎফর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুর রহমান কুট্টিসহ অন্যান্য শিক্ষক বৃন্দ।
নাম না বলা শর্তে প্রার্থীরা অভিযোগ করে জানান, প্রথমে পরীক্ষার জন্য প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা নেন। এবং ৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করার জন্য পরামর্শ দেন মাদ্রাসা সভাপতি। লিখিত পরীক্ষায় কায়েস নামে একজন পরীক্ষার্থী দুই দুইবার নকল সহ ধরা পড়লেও শিক্ষা কর্মকর্তা সহ গার্ডে থাকা কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে পরীক্ষায় সহায়তা করেছেন। এবং অন্যান্যদের হুমকি স্বরুপ কথাবার্তা বলেছেন। নকলে যা যা উত্তর লিখে এনেছে তার অবিকল প্রশ্ন ছিল। তাতে বুঝা গেল আগেই তাকে প্রশ্নের ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।
প্রতিবেদক ঘটনাটি গোপন সূত্রে জানতে পেরে কালাইয়া রব্বানীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে গেটের দরজায় তালা মেরে দেন। যাতে কেউ যেন মাদ্রাসায় ঢুকতে না পারে। এসময় শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে কালাইয়া রব্বানীয়া ফাজিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হাই জানান, আমাকে জানালো এখানে পরীক্ষা হবে তাই আমি উপস্থিত স্বরুপ চাবিকাঠি দিয়েছি এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা। তবে একজন পরীক্ষার্থীর কাছে কাগজ পাওয়া গিয়েছিল।
এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) প্রতিবেদককে বলেন, এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।