বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারে চতুর্থ বারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড করলো কক্সবাজারে অবস্থিত পিকেএসএফ ও ইফাদের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কোস্ট ফাউন্ডেশন’ কতৃক বাস্তবায়িত PACE(Promoting Agriculture and Commercialization Enterprise- Crab Part) প্রকল্পের উদ্যোক্তা অং চিন।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান আজ ১৭ আগষ্ট কোস্ট ফাউন্ডেশনের কাকড়া হ্যাচারি পরিদর্শন করেন তিনি বলেন ,কোস্ট ফাউন্ডেশন দেশে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে দেশের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । কক্সবাজার জেলা মৎস্য বিভাগ সব সময় কোস্ট ফাউন্ডেশনের কতৃক বাস্তবায়িত কাকড়া হ্যাচারির উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দিবে।
দৈনিক উপকূল বার্তাকে মোবাইলে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক বারেকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের কোস্ট ফাউন্ডেশন কতৃক বাস্তবায়িত কাকড়া হ্যাচারি সর্বোচ্চ সংখ্যক কাঁকড়ার পোনা (১৯০০০ টি, ৫.৮% বেচে থাকার হার) আহরণের মধ্যে দিয়ে পূর্বের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে আমাদের কাঁকড়া হ্যাচারি।
কক্সবাজার’স্থ আধুনিক ও সুসজ্জিত সরকারি কাঁকড়া হ্যাচারি কাঁকড়ার আশানুরূপ পোনা উৎপাদনে ব্যর্থ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সেখানে কোস্ট ফাউন্ডেশন কতৃক বাস্তবায়িত কাকড়া হ্যাচারিতে এই সাফল্য আশার আলো দেখাবে আর কক্সবাজারে কাঁকড়ার চাহিদা পূরন হবে আশা ব্যক্ত করেন কাকড়া চাষীগন।
কোস্ট ফাউন্ডেশন পরিচালিত এই কাঁকড়া হ্যাচারিটিতে উৎপাদিত পোনার টিকে থাকার হার বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং প্রথম। পেইস (কাঁকড়া) প্রকল্প টীমের নিরলস চেষ্টার মাধ্যমেই এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। উক্ত হ্যাচারিতে উৎপাদিত কাকড়ার পোনা কক্সবাজার এলাকার কাঁকড়া চাষীদের কাঁকড়ার চাহিদা পূরণে অন্যতম ভূমিকা রাখছে।
ফলশ্রুতিতে প্রকৃতি থেকে কাঁকড়া সংগ্রহ করা পর্যায়ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে এবং অতি আহরণের ফলে সৃষ্ট প্রকৃতিতে কাকড়ার সংকট কাটিয়ে উপকূলীয় জলজ পরিবেশ তার হারানো ভারসাম্য ফিরে পাচ্ছে। খুব শীঘ্রই কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের বানিজ্যিক সম্প্রসারণ এর মধ্যে দিয়ে মৎস্য সেক্টরে নব জাগরণের সূচনা করবে কোস্ট ফাউন্ডেশন।