1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কবি মিনার মনসুর থেকে আমাদের তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে-রেজাউল করিম চৌধুরী বাইউস্টের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনারের দুর্নীতি’র অভিযোগ ইয়ুথ এ্যাডাপটেসন ফোরামের উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে পানি-খাবার স্যালাইন-মাথার ক্যাপ বিতরণ জাতীয় শ্রমিক দল ভোলা জেলা শাখার উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত রাজশাহীতে জাতীয় দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বোরহানউদ্দিনে ৩ জ্বীন প্রতারক আটক বোরহানউদ্দিনে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ ভোলার মেঘনা নদী থেকে ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছেন ডিবি পুলিশ ভোলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত

সংসার আর চলে না/এভাবে কী জীবন চলতে পারে?

যুগ্ম সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪৩ বার পঠিত

মনিরুজ্জামানঃ

আব্দুল খালেক। বাদাম বিক্রেতা। বাসা টবগী ইউনিয়নের মনিরাম বাজার। ঘুরে ঘুরে বাদাম,চাউল ভাজার সাথে তিষি ভাজা,ছোলা বাদাম বিক্রি করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বিক্রি। এতে ৪০০-৫০০ টাকা আয় করেন। ৫ বছর ধরে এ কাজ করছেন।বর্তমানে এটাকে পেশা ধরে এগিয়ে গেছেন। সংসারে তার পাঁচ সদস্য। ২ মেয়ে ও ছেলে।ছেলে ইয়ামিন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। বসত ঘর ছাড়া কিছুই নেই তার।

এ কাজ করে সংসার নামক যন্ত্রের ঘানি টানেন। সবার দেখভাল করলো, নিজেরটা দেখার সুযোগ নাই? কেমন চলছে দিনকাল। এমন প্রশ্নে বলেন,আর পারি না।সংসার আর চলছে না। তিনি বলেন,৩-৪ বছর আগেও তার এই আয়ে মোটামুটি সংসার চলতো। এখন সংসারে বেশ টানাপোড়ন। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বেশ গরমিল। খরচের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না । খালেক বলেন, আগে ৩০০-৪০০ টাকাতে ও সংসার চলতো। এহন ৫০০ টাকাতেও চালাতে পারি না।প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ডাল ভাত খাইয়া কোন রকম বাইচা আছি। কোরবানি ঈদ ছাড়া গরুর মাংস কিনে খেতে পারেনি।মাঝেমধ্যে সন্তানদের আবদার মিটাতে বয়লার মুরগী কিনতে হয়।

বর্তমানে যার দাম বৃদ্ধি হয়ে ১৮০ টাকা হয়েছে। ডাল, আলু ভর্তা আর শাক তার পরিবারের নিত্যসঙ্গী। মিলন চন্দ্র দাস সকাল ৯ টায় পৌর বাজারের ব্রিজের উপর জুতা সেলাইয়ের সরঞ্জাম নিয়ে বসেন। ২০/২৫ বছর যাবত এ কাজ করেন।তিনি বলেন, মানুষ আগের মতো আর জুতা সেলাই করেন না। প্রতিদিনের আয় ২০০-২৫০ টাকা। তিনি বলেন, এহন ভালো কিছু কিনে খাইতে পারি না। কোনোদিন ভালো আয় হইলে মাছ কিনতে পারি। নইলে পারি না। সপ্তাহে একদিন মাছ খাওয়া হয়। তিনি বলেন,লাল ডিমের হালে ৪০ টাকা।হাঁসের ডিমের হালি ৫৬ টাকা। মোডাডাল ৬৫ টাকা । ক্যামনে খামু। সব সময় ডাল, আলু দিয়া খাই।

মিলন-খালেক এর মতো নিম্ন আয়ের অসংখ্য মানুষ কষ্টে আছেন। নিম্ন আয়ের মানুষ ছাড়াও ভালো নেই নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তাদেরও খাদ্য তালিকাসহ জীবনযাপনের পদ্ধতিও কাটছাট করতে হচ্ছে। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী কিনতে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। মোহাম্মদ নাছির। ছিলেন বই ব্যবসায়ী । করোনার তান্ডবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জীবনের তাগিদে বনে যান মুদি ব্যবসায়ী। স্বল্প পুঁজিতে সুবিধা করতে পারছেন না।

নাছির বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে এখন অনেক কিছুই খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। বাহিরে চলাচলে আগে যেখানে রিকশায় যেতাম সেখানে এখন পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চলাফেরা করি। সন্তানের জন্য বাসায় টিচার রাখতে পারছি না। এখন ওর আম্মুই যতটুকু পারে পড়ায়। একটি বেসরকারি কলেজের বানিজ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বলেন,যে বেতন পাই।তা দিয়ে মাসের ১৫ দিন চলতে পারি।এরপর আবার টানাটানি। এভাবে কীআর মানুষের জীবন চলতে পারে?

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা