ঢাকা, ৩০ জুলাই ২০২২।
আজ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিলেট বিভাগীয় বিডিসিএসও সিলেটে মানবিক সহায়তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। তারা স্থানীয় এনজিওদেরকে মাঠ পর্যায়ের ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওযারও দাবি করেছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা এবং আইএনজিওগুলিকে তাদের ভূমিকা কেবল পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিং এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশও করা হয় সংবাদ সম্মেলনথেকে।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন কোস্টের রেজাউল করিম চৌধুরী, এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট বিডিসিএসও প্রক্রিয়ার সভাপতি জনাব তোফাজ্জেল হোসেন। এতে আরও বক্তৃতা করেন, এডাবের পরিচালক জসিম উদ্দিন, দুর্যোগ ফোরাম সচিব গওহর নঈম ওয়াহরা, বাবুল আক্তার- সমন্বয়কারী এডাব সিলেট, আবুল কালাম আজাদ-নির্বাহী পরিচালক অ্যাওয়াার্ড, বদরুল ইসলাম-নির্বাহী পরিচালক জসিস, বদরুল আক্তার-সম্পাদক এডাব সিলেট, সাজ্জাদুর রহমান-নির্বাহী পরিচালক-পদ্মা সিলেট এবং জোবায়ের হোসেন- নির্বাহী পরিচালক শতদল সিলেট।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সিইআরএফ তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের উচিৎ স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক নীতি বাস্তবায়ন করা। জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারীর ঘোষণা অনুসারে ৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা হয়েছে। আগের মতো এই তহবিলটি শুধুমাত্র জাতিসংঘের সংস্থা ও রেডক্রস এবং বড় বড় আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা উচিৎ নয়, যা আমরা আগে দেখে এসেছি। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক ২.৫ মিলিযয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে, আইএনজিওগুলো কী পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে তার সামান্য তথ্যই এই পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি সিলেটে টেকসই ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সুশীল সমাজ গঠনের লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহŸান জানান। তিনি উন্মুক্ত, প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তহবিল বিতরণের দাবি জানান।
জনাব নাঈম গওহর ওয়াহরা বলেন, ত্রাণ কর্মসূচি সমন্বয়ের জন্য সিলেট ও সুনামগঞ্জে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ত্রাণ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি জাতিসংঘসহ সকল সংস্থাকে তাদের অর্থ এবং পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য সিলেটের সংশ্লিষ্ট সিলেটের ইউএনও ও জেলা প্রশাসকদেরকে জানানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই অর্থ সাহায্যকে জনগণের অধিকার হিসাবে বিবেচনা করা উচিত, কোন দয়া হিসেবে নয়। এ কে এম জসিম উদ্দিন বলেন, গ্র্যান্ড ব্যার্গেইনের প্রতিশ্রæতির আলোকে জাতিসংঘ এবং আইএনজিওগুলিকে স্থানীয় এনজিওগুলিতে কমপক্ষে ২৫% তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় এনজিওগুলির সাথে কাজ করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে তারা জানে কিভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে হয়, কম খরচে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হয় এবং কর্মসূচি সমন্বয়কারী প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত একটা যোগাযোগ থাকে।