1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মূলঘরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে স্বপন দাশের মতবিনিময় রামপালে বেপরোয়া গতির ট্রাক কেড়ে নিল তিন প্রাণ  আলিপুরে বিভিন্ন স্থানে মটর সাইকেল প্রতিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম জিয়ার গণসংযোগ… সাতক্ষীরায় অগ্নিবীনার উদ্যোগে নজরুল সম্মিলন ভোটে অংশ নেওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ বহিষ্কার রামপালে গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা রামপালে গাঁজাসহ যুবক আটক ফরিদপুরে মুসলিম শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ভোলায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত খানপুর মেইনরোডে মাদক ব্যবসা জমজমাট ॥ পুলিশ নিরব

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের নিরাপদ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের দূরবস্থা

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৮৭ বার পঠিত
জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপক’লীয় অঞ্চেলের মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও নিরাপদ খাবার পানির দূরবস্থা শত শত বছর ধরে ভোগ করে আসছে। প্রতি বছর কোন না কোনা সময় প্রাকিত দূর্যোগ ঘূণিঝড়, জলোস্বাচ্ছ¡স, অতিবৃষ্টি, অতিরিক্ত জোয়ার, নদী ভাংগন, লবনাক্ত পানি প্রবেশ জনজীবনে দূর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছে। এক একটি দূর্যোগের পর মানুষ কষ্ট করে যখনই ঘুরে দাড়ায় পরক্ষনে আবার দূর্যোগ এসে সব কিছু ধংশ করে দিয়ে যায়। এভাইই চলছে উপক’লীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রা। জলবাযু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারনে আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রাকিতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে এ অঞ্চেলের মানুষকে। ফসল, রাস্তাঘাট যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি সাধারন মানুষ বা অতিদরিদ্র মানুষের টয়লেট নষ্ট হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠির টয়লেট নষ্ট হলে তারা বার বার মেরামত বা নির্মান করতে পাওে না বা তাদের সামর্থ থাকে না। তারা বছরের পর বছর অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার কওে চরম স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়ে জীবন যাপন করে আসছে। জলবাযু পরিবর্তনের কারণে উপক’লীয় অঞ্চলের মানুষের স্থায়ী স্যানিটেশন সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে স্থানীয় বা কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিবাচক কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায় না। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে যেমন গুরুত্বের সাথে পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায় । নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের ব্যাপারে এমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। অতচ বরগুনা জেলাসহ উপক’লীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলার প্রায় ৪ কোটি মানুষের বসবাস এ অঞ্চলে। এদের মধ্যে প্রায় ৭০-৮০ লাখ দরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে। এই দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার বা স্থানীয় সরকার বা সংশ্লিষ্ট সেবাদানীকারী প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য কোন পরিকল্পনা বা পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হয় উপক’লীয় অঞ্চলের মানুষ এভাবেই স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়ে বসবাস করলে তাদের কিছু আসে যায় না।
জলবায়ু ফান্ড বা উপক’লীয় অঞ্চলের জন্য বিশেষ তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে এই সমস্যাগুলির স্থায়ীভাবে সমাধানে পরিকল্পনা গ্রহন করতে পারে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় সরকার পরিপত্র, গেজেট, দরিদ্র সহায়ক কৌশল পত্র জারি করে । আসলে এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত হয় না। পরিপত্র বা কৌশল পত্র জারি করা পর্যন্ত শেষ এর কোন তদারকি বা মনিটরিং এর কোন ব্যবস্থা থাকে না। ফলে এগুলো কাগজেই থেকে যায়। উপক’লীয় অঞ্চলে বার বার যেমন প্রাকিতিক দূর্যোগে হানা দিয়ে লন্ড ভন্ড করে দিয়ে যায়, তেমনি বছরের প্রায় ৬ মাস লবনাক্ত পানি প্রবেশ করে মানুষের ফসল, মৎস্য সম্পদ নষ্ট হয়। একই সাথে পানি ব্যবহার সুযোগ থাকে না। আমরা যদি দেখি খুলনা, বাগেরহাট, মোড়লগঞ্জ, বরগুনা, পাথরঘাটা ও ল²ীপুর জেলার রামগতি উপজেলাসহ পানির জন্য কি পরিমান কষ্ট ভোগ করে আসছে। যে এলাকায় ভ’গর্ভস্থ পানিতে লবন, আয়রন বা অন্যান্য দূষিত পদার্থ আছে, সেখানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষন অথবা মিঠা পানির অধার তৈরি করে পানি সরবরাহ করা। সরকার সারাদেশে পুকুর/খাল খনন কর্মসূচীর আওতায় কিছু পুকুর খনন করে পিএসএফ স্থাপন করে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা শুরু করেছে। যাহা প্রোজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং তদারকি বা মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারনে ২/৩ বছর পর সেগুলি আর সচল থাকে না।
৩-৪ শত বছর আগে মোঘল আমল, বৃট্রিশ আমল পর্যলোচনা করলে দেখা যায় তখনকার সরকারগুলি সাধারন মানুষের নিরাপদ খাবার পানির কষ্ট দূও করার জন্য বড় বড় দিঘি/পুকুর খনন করেছেন এবং সেইগুলি সংরক্ষনের ব্যবস্থা ছিলো। কেউ ঐ জলাধারের পানি দূষিত করতে পারত না। যেমন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ১৪০ একর জমির উপর কমলা সুন্দরির দিঘি, বরিশালের দূর্গা সাগর, ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিনের বিদ্যা সুন্দরির দিঘি (নদী গর্ভে বিলীন), বাগেরহাটের খানজাহান আলীর দিঘি, বরগুনা, খুলনা, যশোরে অসংখ্য জলাধার খনন করে মানুষের খাবার পানির ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমান সময়ে এসেও আমরা সুনিদিষ্ঠ পরিকল্পনা গ্রহন করে উপক’লীয় অঞ্চলের মানূষের নিরাপদ খাবার পানির কষ্ট দূর করতে পারছে না। আসলে পারার কথাও না সরকার ২০১৩ সালে পানি আইন ২০১৮ সালে পানি বিধিমাল প্রনয়ন করা করেছে। আজও এর প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন নাই। কিছু কিছু ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান বা সদস্য পানি বিধিমালা সম্পর্কে জানে না। বিধিমালা অনুযায়ী ইউনিয়ন পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও এই কমিটি গঠন করে নাই। এমন কি কিছু উপজেলা পরিষদ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উপক’লীয় অঞ্চলের অনেক পরিবার ভিটা মাটি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছে। নাই তাদের মাথাগুজাবার ঠাই। কিভাবে এই মানুষগুলি নিরাপদ পানির চিন্তা করবে , কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের চিন্তা করবে। উপক’লীয় অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি মনোযোগ সহকারে এগিয়ে আসলে উপক’লীয় অঞ্চলের অতিদরিদ্র মানুষের নিরাপদ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজ প্রতিনিধিগন।
উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষের আরেক সমস্যা হলো জলাব্ধতা। জলাব্ধতার কারনে অনেক বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। জলাব্ধতার কারনে অনেক টয়লেট নষ্ট হচ্ছে, রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। এখানে খালগুলি খনন করা হচ্ছে না, সুইজগেটগুলি মেরামত করা হচ্ছেনা যার কারনে বৃষ্টির পানি বা অতিজোয়ারের পানি বেড়িবাধের মধ্যে ডুকলে আর নামতে পারছে না। উপকুলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশের নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সমস্যার সমাধান করতে হলে এর জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় গঠন করা একান্ত জরুরি। আলাদা মন্ত্রনালয় থাকলে উপক’লীয় অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলের এই সমস্যাগুলি দ্রæত সমাধান করা সম্বব হতো। ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হলে এই খাতের প্রতি বিশেষভাবে নজর রেখে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে এর সঠিক ও সময়মত বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশেষ করে উপক’লীয় অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকি কমাতে হলে এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ে দারিদ্র সহায়ক কৌশল পত্রের আলোকে তালিকা তৈরী করে জলবায়ু ফান্ডসহ অন্যান্য উন্নয়ন তহবিল থেকে কয়েকগুন বরাদ্দ বাড়িয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা