1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

রাজশাহীতে জমি দখল করতে হামলা ও লুটপাট

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০৬ বার পঠিত

মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহী্ঃ

জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় মারামারি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী এ কে এম পারভেজ ইমাম চৌধুরি ওরফে পরশ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক ১০.০০ টায় বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড হেতেমখাঁয় (ছোট মসজিদের পশ্চিমে) অবস্থিত সাত তলা ভবন জবরদখল নিতে মরিয়া দুই পক্ষ। তবে উভয় পক্ষের সমর্থক আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। মামলা সুত্রে জানায়ায়, নিজের পিতার ক্রয়কৃত জমির দীর্ঘদিনের মামলার ডিগ্রি বা পক্ষে রায় পায় মৃত আফাজ উদ্দিনের ওয়ারিসগন। ওয়ারিস হিসেবে সবকিছু দেখভাল করতেন আফাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির ওরফে মিজান (৫২)। মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের ডিগ্রি পেলে চলতি বছরের আগষ্ট মাসের ৩ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজশাহী জেলা যুগ্মজজ আদালত ঢোল পিটিয়ে এলাকাবাসির উপস্থিতিতে জমি সহ ভবন বুঝিয়ে দেন মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির ওরফে মিজান সহ ওয়ারিসগনকে। এরপর থেকে মিজান ও তার ভাগিদার ভোগদখল শুরু করে এবং সবাই মিলে ভবনের নির্মান কাজ শুরু করে। কিন্তু সেই ভবনে অবৈধ দখলদার সৈয়দ আহমেদ জাকি ওরফে স্বজল(৪৬) বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বর্তমান ভোগদখলিদের উচ্ছেদের লক্ষে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ঐ বাড়িটিতে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে হামলাকারিরা ভবন থেকে নির্মানের মালামাল বের করতে গেলে মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির মিজান বাধা দেয়। মিজান বাধা দিলে তাকে স্বজলের ভাই মামুন, রাজনসহ এলাকার নজরুলের ছেলে রাজ্জাক আহমেদ রাজল, সনি, জাহিদ লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি-সোঠা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থলে মিজান অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে তাকে বাঁচাতে ছুটে আসে তার ভাতিজা রায়হান জ্যাকি (৩৪)। তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে স্বজলের সমর্থকরা। তাদের বাঁচাতে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তাদেরকেও মারধর করে স্বজলের লোকজন। এতে বর্তমান ভোগদখলিদের ৫ জন ও পতিপক্ষের ১জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মিজানের সাথে হাসপাতালে সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান, প্রায় ৬০ বছর পুর্বে হেতেমখাঁ এলাকার এ কে শহিদুল্লাহ’র থেকে জমি ক্রয় করেছে আমার পিতা আফাজ উদ্দিন। জার সিএস খতিয়ান নং ২৪০ এবং দাগ নং ৪৭৯,৪৮০,৪৮১,৪৮২। আরএস খতিয়ান নং ১৪১৫ এবং দাগ নং ২৩৭১,২৩৭২,২৩৭৩,২৩৭৪। কিন্তু পরবর্তীতে সেই জমি দখল না দিলে আমার পিতা আদালতে মামলা করে। আমরা প্রথমে জেলা জজ কোর্টে পক্ষে রায় পায়। তারা হাইকোর্টে আপিল করে এবং সেখানেও তারা হেরে যায়। তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, সেখানেও তারা হেরে যায়। অবশেষে কোর্ট আমাদের ঢোল পিটিয়ে জায়গা বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু স্বজল তার ৮০/৯০ জন ভাড়াটে সন্ত্রসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমার ভবনে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর বাড়িতে থাকা প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় স্বজল গং। তবে আমরা পাঁচ থেকে সাতজনকে চিনতে পেরেছি। এবং তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। এবিষয়ে মামলার আসামীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে মিডিয়াকর্মীরা। তারপরও অজ্ঞাত তাদের একজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নানা তালবাহানা করতে থাকেন। অবশেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে উভয় পক্ষই মামলা করেছে। মিজান পক্ষের ৪-৫ জন আহত হয়েছে এবং স্বজল পক্ষের ১ জন সামান্য আহত হয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা