নিজস্ব প্রতিনিধি:

ঢাকার কেরানীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিঘাতে ঘুমন্ত মাসুম (৩২) নামে এক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ থানা পুলিশ হত্যাকারী অপু (৩৩) ও হত্যার সাথে জড়িত রাসেল (৩৫)সহ দু’জনকে আটক করেছে। বুধবার সকালে সাড়ে ৭ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়গেন্ডাড়িয়া শাপলানগর কানাপট্টি এলাকায় লোকমান মোল্লার বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসায় নিহতের নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

মাসুম এর দুলা ভাই ফারুক জানান, সকাল সাড়ে সাত টায় মাদক ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম অপু (৩৩)সুইচ গিয়ার চাকু নিয়ে বাসায় আসে। এ সময় মাসুম ঘুমিয়ে ছিল। বাসায় ডুকে মাসুমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে গলায় ছুরি চালায় এ সময় মাসুম জীবিত ছিল । এলাকাবাসী মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।এদিকে মাাসুকে কুপিয়ে চলে যাওয়ার পথে মাসুম এর বড় ভাই শহিদুল জহিরুল ইসলাম অপু(৩৩)কে রক্তমাখা ছুরিসহ ধরে ফেলে, এসময় এলাকাবাসী উত্তাম মাধ্যমদেয়,তখন অপু পুলিশের সোর্স রাসেল এর হুকুমে এ কাজ করেছে বলে এলাকাবাসীর কাছে স্বীকারুক্তি দিয়েছেন। পরে অপুকে পুলিশ সোপর্দ করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।

সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী এস আই মমিনুল হক চৌধুরী জানান, মাসুম এর শরীরে ২১ থেকে ২২ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এছাড়া গলা কেটে ফেলেছে। মাসুম এর বড় ভাই শহিদুল জানান, আমার ভাই একজন ডকইয়ার্ড ফিটিং এর শ্রমিক, পুলিশ সোর্স নয়া রাসেলের সাথে অনেক দিন যাবৎ কাজ নিয়ে বিবাদ চলছিল। বুধবার সকালে অপুকে দিয়ে আমার ভাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে জবাই করে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে।শহিদুল আরো জানান, হত্যাকান্ডের সাথে আরো অনেকে জড়িত রয়েছে। আমার ভাইয়ে হত্যাকারী ও হত্যায় জড়িতদের ফাসি চাই। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মাসুম হত্যায় জড়িতদের ফাসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

এ বিষয় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান জানান, দক্ষিন কেরানীগঞ্জের পাড়গেন্ডারিয়া এলাকায় পূর্ব সত্রুতায় টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে নিহত ব্যক্তির নাম মাসুম। হত্যাকান্ড ঘটনার দু ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী অপুকে এলাকাবাসী পুলিশে সোপর্দ ও হত্যার সাথে জড়িত নয়া রাসেলকে কৌশলে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।