লালমোহনে হত্যার হুমকি দেওয়ায় ভয়ে পরিবারের সকলকে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মিঝি বাড়ির মৃত শাহে আলম মিঝির ছেলে আবেদ মিঝি।

ভূক্তভুগী আবেদ মিঝি অভিযোগ করে জানান, পাশ্ববর্তী এলাকা ৭ নং ওয়ার্ডের ফরিদ ওরফে গালকাটা ফরিদ প্রথমে আমার বড় ভাই ফারুক মিঝির মেয়ে মোসা.নার্গিসকে বিয়ে করেন, পরে আবার বড় ভাইর ছেলে ফজলু মিঝি মরার পর তার স্ত্রী রিপাকে বিয়ে করেন। এর পর থেকে আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচর নির্যাতন চালিয়ে আসছে।আমি চট্টগ্রাম একটি গার্মেন্টস ফেক্টরীর গাড়ি চালাই ঈদে বাড়িতে আসলে আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে ফরিদ পেছন থেকে মটর সাইকেল দিয়ে আমাদেরকে এক্সিডেন্ট করার চেষ্টা করে। এমন সময় আমরা তার মটর সাইকেলের সামনে থেকে সরে গিয়ে তাকে এর কারন জিজ্ঞেস করলে ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমার পরিবারের সকলকে ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে সকলকে ঘরের মধ্যে পুড়িয়ে মারবে আর নচেৎ আমাকে মেরে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করবে। এবং ফজলুকে খাইছি তোরেও খামু পরে তোর বউরে বিয়ে করমু।আমার মেয়ে চরফ্যাশন মহিলা কলেজে পড়ে তাকেও পথিমধ্যে অত্যাচার নির্যাতন করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
আবেদ মিঝির স্ত্রী তাছলিমা জানান, ফরিদ আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা আছে প্রয়োজনে তোদেরকে মেরে আরো একটা মামলা খামু তাতে আমার কিছুই হবেনা।ফরিদ একজন সন্ত্রাসী ওকে এলাকার মানুষ ভয় পায়। এখন আমরা ফরিদের ভয়ে খুব আতংকে আছি এখন আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।
তাই আমরা মাননীয় এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মহোদয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এই সন্ত্রাসী ফরিদ ওরফে গালকাটা ফরিদের বিচার দাবি করছি।
এ ঘটনায় ফরিদের মুঠো ফোন দিয়ে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।