1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লালমোহনে ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকির অভিযোগ সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ৩০ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ এর পৌর ৩নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন ভোলা সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহা চৌধুরী হাঁস প্রতিকে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কবি মিনার মনসুর থেকে আমাদের তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে-রেজাউল করিম চৌধুরী বাইউস্টের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনারের দুর্নীতি’র অভিযোগ

অবিবাহিত শিক্ষককে বিয়ে উদ্দেশে এক জরুরি নোটিশ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ১২৩ বার পঠিত
প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে বুধবার বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসী

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ে হিন্দু ধর্ম বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন গোপালপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা রনি প্রতাপ পাল। তিনি এখনও অবিবাহিত। অনেক দিন ধরেই রনি প্রতাপ পালকে বিয়ের জন্য বলছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। কিন্তু তিনি বিয়ে করেননি।

গত ২৬ জুলাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিক্ষক রনি প্রতাপের উদ্দেশে এক জরুরি নোটিশ দেন। এতে বলা হয়, স্কুলে যোগদানের পর আপনাকে বারবার মৌখিকভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আপনি বিয়ে করেননি। বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। ফলে অভিভাবকরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। তাই বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপনাকে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

সহকারী শিক্ষককে এ ধরনের নোটিশ দেওয়ার ঘটনায় তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছে। বুধবার বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।

এদিকে নোটিশ পাওয়ার দু’দিন পর ২৮ জুলাই শিক্ষক রনি প্রতাপ এর লিখিত জবাব দেন। জবাবে তিনি লেখেন, অভিভাবকরা আমার বিয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু হিন্দুদের বিয়ের পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ে গোত্র বা বর্ণের বিষয় রয়েছে। তাছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক পর্যন্ত বিয়ে করাটা শুভ মনে করেন না। সুতরাং পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতির কারণে আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার অভিভাবকরা আমাকে বিয়ে করাবেন বলে জানিয়েছেন।

রনি প্রতাপ অভিযোগ করেন, তাঁর জবাব প্রধান শিক্ষকের পছন্দ হয়নি। তিনি সবার সামনে সাফ বলে দিয়েছেন, নির্দিষ্ট কর্মদিবসের মধ্যে বিয়ে না করলে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে। তিনি বলেন, তাই হয়রানির ভয়ে আমি গত ৩০ জুলাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। মূলত নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আমার বিয়ে নিয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, রনি প্রতাপের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে স্কুল সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। যেহেতু বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা চলমান রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানে অবিবাহিত শিক্ষক থাকলে নানা অসুবিধা হতে পারে। এ জন্য তাঁকে দ্রুত বিয়ে করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে এভাবে নোটিশ দেওয়া ঠিক হয়নি বলে এক পর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি।

গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নোটিশ করার এখতিয়ার কোনো প্রধান শিক্ষকের নেই। তাঁর আর্থিক অনিয়মের ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে।

সূত্র: সমকাল।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা