1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

পটুয়াখালী পৌরসভার পেনশন বঞ্চিত ১৭ কর্মচারী পেলেন সোয়া এক কোটি টাকা

সহকারী সম্পাদক
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৮৮ বার পঠিত

পটুয়াখালীঃ

পটুয়াখালী পৌরসভায় সাধারণ শাখায় ১৯৯২ সালের পহেলা আগস্ট চাকরিতে যোগদান করেন আব্দুল মজিদ প্যাদা। দীর্ঘ বছর নগরবাসীকে সেবা দিয়ে ২০০১ সালের পহেলা জানুয়ারি অবসরে যান মজিদ। এর মধ্যে জীবনের অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কয়েকবার স্টকের পরে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমের বেঁচে আছেন।

অবসরে পরে নিজের কর্মস্থল থেকে আনুতোষিক সম্মানি টুকুও পাননি তিনি। চিকিৎসার অভাবে রোগের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে কাটাচ্ছেন জীবন। শেষ বয়সে আনুতোষিক সম্মানি আশা ছেড়ে দিয়ে রোগশোক ও অভাব অনটনে দিন কাটাতে শুরু করেন তিনি।

হঠাৎ করেই পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে চিঠি পেলেন তার অবসর কালীন পেনশন পাবেন, তাও এককালীন ছয় লাখ টাকা। এতে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। মরার আগে অন্তত কয়েকটাদিন শান্তিতে কাটাতে পারবেন।

শুধু আব্দুল মজিদ নয়, পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১৭জন কর্মচারী এরকম পেনশন বঞ্চিত ছিলেন। এবার কেউ ২২ বছর, কেউ ২০ বছর, কেউ ১০ বছর ও কেউ ৫ বছর পর নিজের প্রাপ্য অধিকার টুকু বুঝে পেয়েছেন।

তবে, পৌর কর্মচারীরা বলছেন, কর্মচারীদের মাঝে এককলাীন পেনশনের এক কোটি একুল লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে বিরল ঘটনা।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পৌরসভার হলরুমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক হস্তান্তর করেন মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।

সারাদেশের মধ্যে এই প্রথম কোন পৌর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এককালীন অবসরপ্রাপ্ত পেনশনের চেক পেয়েছেন বলে জানান সুবিধা ভোগীরা। এদের মধ্যে ২২ বছর পরেও পেনশনের টাকা পেয়েছেন এমন কর্মচারীও রয়েছে। এতে আনন্দিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীসহ মৃত্যু কর্মচারীদের পরিবার ও বর্তমান কর্মচারীরা।

এসময় পটুয়াখালী পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পেনশন প্রাপ্তরা হলেন, মৃত্যু মোঃ মনির হোসেন পরিবারের পক্ষে স্ত্রী মাকসুদা আক্তার সাত লাখ চব্বিশ হাজার ৫১৭ টাকা, মৃত্যু জসিম উদ্দিনের পক্ষে স্ত্রী আসমা বেগম দুই লাখ টাকার চেক, মৃত্যু শেখর কুমার বিশ্বাসের পক্ষে কল্পনা রানী বিশ্বাস দশ লাখ টাকার চেক, মৃত্যু এইচএম নজরুল ইসলামের পক্ষে স্ত্রী হামিদা বেগম পনের লক্ষ টাকার চেক, মৃত্যু সজল কুমার দাসের স্ত্রী কৃঞ্চারানীদাস আট লাখ টাকার চেক, মৃত্যু মোঃ জালাল তালুকদারের পক্ষে স্ত্রী রানী বেগম তিন লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৯ টাকার চেক৷ আব্দুল মজিদ প্যাদা দশ লাখ টাকার চেক, মৃত্যু আলতাফ হোসেন পক্ষে স্ত্রী রোকেয়া বেগম দশ লাখ টাকার চেক, মোঃ লতিফ আকন পাঁচ লাখ টাকার চেক, সৈয়দ আব্দুল মোতালেব দুই লাখ ৩৮ হাজার ৭২৯ টাকার চেক, মমতাজ বেগম পাঁচ লাখ টাকার চেক, মো মঞ্জুর আহমেদ আট লাখ টাকার চেক, মোঃ আক্তারুজ্জামান ছয় লাখ টাকার চেক, আব্দুল ওয়াহেদ গাজী পাচ লাখ চেক, মদন কুমার ঘোষাল আট লাখ টাকার চেক, মোঃ সামসুল আলম দশ লাখ টাকার চেক ও আব্দুল মজিদ ছয় লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা