1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপন দাশ লালমোহনে ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকির অভিযোগ সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ৩০ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ এর পৌর ৩নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন ভোলা সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহা চৌধুরী হাঁস প্রতিকে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কবি মিনার মনসুর থেকে আমাদের তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে-রেজাউল করিম চৌধুরী বাইউস্টের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

বোরহানউদ্দিনে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ২৯২ বার পঠিত

জেএম.মমিন, বোরহানউদ্দিনঃ

এক সময় ভোলার বোরহানউদ্দিনের গ্রামগঞ্জ গুলোত শীতের মৌসুম আসলে ভোর বেলায় দেখা যেত গাছিরা গাছ থেকে রস সংগ্রহ, বিক্রি, গুড় তৈরি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জামসহ ব্যস্ত সময় পার করছেন ৷ শীতের মৌসুম শুরু হতেই ঘরে ঘরে শুরু হত খেজুর রসের ফিন্নি ও গুড় দিয়ে তৈরি বিভিন্ন মজাদার পিঠা পুলির আয়োজন ৷ কিন্তু সেখানে আজ এমন দৃশ্য দেখাই দুষ্কর ৷

খেজুর রসের প্রচুর চাহিদা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে খেজুরের গাছ ও রস। পেশা বদল করে নিচ্ছেন এর সাথে সম্পৃক্তরা ৷ তাই গ্রামে গ্রামে ঘুরেও খুব সহজে পাওয়া যায়না খেজুর রস ৷

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুড়ে দেখা যায়, অল্প সংখ্যক লোক এখন এ পেশার সাথে যুক্ত ৷ তারা অন্য পেশার পাশাপাশি এটি ধরে রেখেছেন ৷ তাদেরই একজন দেউলা গ্রামের গাছি ইসমাইল ঢালী তিনি জানান, আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ এই পেশার সাথে জড়িত ৷ এক সময় আমি ১৫০ টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতাম ৷ শীত আসলে খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে সংসার চালাতাম এবং ৭০-৮০ হাজার টাকা আয় করতাম ৷ কিন্তু গত ১০ বছর থেকেই আস্তে আস্তে খেজুর গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করে ৷ এবছর মাত্র ২৫ টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছি ৷

সাঁচরা ইউনিয়নের বাথান বাড়ী গ্রামের গাছি, নেছার মীর ও আকবর জানান, আমাদের আশেপাশে আগে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল ৷ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তা হারিয়ে যাচ্ছে এখন আর তেমন গাছ নেই ৷ তাই আমরা রসও সংগ্রহ করতে পারছিনা ৷ তারা আরো জানান, গাছ কম থাকায় বর্তমানে রসের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি ৷ এবছর প্রতি হাড়ি রস ১৫০ টাকা ও প্রতি কেজি খেজুর গুড় ২৫০-৩০০ টাকা করে বিক্রি করছেন তারা ৷ অগ্রিম টাকা নিয়েও মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রস দিতে পারছেন না ৷

বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচ.এম শামীম জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও অহেতুকভাবে গাছ কেটে ফেলায় অনেকটাই বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। আগে যারা এ পেশায় ছিল তাদের বেশির ভাগ গাছি মৃত্যু বরণ করেছেন ৷ বর্তমান প্রজন্ম এই পেশা আসতে চান না ৷ এ বিষয়ে সবার সচেতন হতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে ৷ পাশাপাশি খালি জায়গা ও রাস্তার পাশে খেজুরের বীজ বপন করে রক্ষনাবেক্ষন করতে হবে ৷ তিনি আরো জানান, প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন জাযগায় তাল ও খেজুরের বীজ রোপন করছি ৷

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা