কুমিল্লা প্রাতনিধিঃ
বাবার সাথে ঘাটে বসে পুকুরে মাছ ধরা দেখছিলেন সৌদির জেদ্দায় স্কুল পড়ুয়া ছেলে আবদুল্লাহ (১৫)। পাশে বসা ছেলেকে হঠাৎ না দেখে হতবিহ্বল বাবা জুপিটার। পুকুর থেকে উদ্ধার হল আবদুল্লাকে ততক্ষনে না ফেরার দেশে চলে গেছেন, ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন। কোরবানীর কিছু দিন আগে কুমিল্লা সদরের রেইসকোর্সে নানা মেজর মুমিনের বাসায় উঠেন জুপিটার দম্পত্তি। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সৌদির জেদ্দায় বসবাস করেন এই দম্পত্তি।
ছেলে আবদুল্লাহ জেদ্দার স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়েন মা একই স্কুলের শিক্ষিকা। জন্মের পর এই প্রথম বাবা মায়ের সাথে ঈদ করতে বাংলাদেশে আসেন আবদুল্লাহ ও তার বোন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবা মার সাথে শহরের শাকতলায় মামার বাসায় বেড়াতে যান আবদুল্লাহ। পুকুর ঘাটে পা পিছলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পানিতে পড়ে যায় আব্দুল্লাহ। স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত উদ্ধার করে মডার্ণ হসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন নিহতের মা-বাবা। ঘটনাটি জানাজানি হলে রেইসকোর্সে মেজর মুমিন কমপ্লেক্সে নেমে আসে শোকের ছায়া।
জুপিটর জঙ্গলবাড়ীর হুমায়ুন মামার বড় ছেলে। আমরা সবাই এ মৃত্যুতে শোকাহত। রাত নয়টায় রেইসকোর্স নুর মসজিদে প্রথম জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয় শুক্রবার সকাল ১০:০০ টায় বুড়িচংয়ের জঙ্গলবাড়ীতে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হবে। সকলের নিকট মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তার পরিবারকে শোক সইবার জন্য দোয়া চাই।