1. admin@upokulbarta.news : admin :
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লালমোহনে ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকির অভিযোগ সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ৩০ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ এর পৌর ৩নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন ভোলা সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহা চৌধুরী হাঁস প্রতিকে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কবি মিনার মনসুর থেকে আমাদের তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে-রেজাউল করিম চৌধুরী বাইউস্টের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনারের দুর্নীতি’র অভিযোগ

প্রভাবশালীদের নিষিদ্ধ জালে নিঃস্ব মেঘনার সাধারণ জেলেরা

সহকারী সম্পাদক
  • আপডেট সময় : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৭৯ বার পঠিত

ভোলা প্রতিনিধি।

ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে নিষিদ্ধ খুটাজাল ও চরঘেরা জালের ফাঁদে প্রতিনিয়তই ধ্বংস হচ্ছে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের কোটি কোটি রেনুপোনা। এতে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল। ফলে একদিকে যেমন জেলেদের জীবন জীবিকার ওপর প্রভাব পড়ছে, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।

দেশের দ্বীপজেলা ভোলার তিন দিকে রয়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী আর একদিকে বঙ্গোপসাগর। ফলে এখানকার প্রায় তিন লাখেরও বেশি মানুষ মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। এক সময় সারা বছরই ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে কমবেশি ইলিশ পাওয়া যেত।
কিন্তু চলতি মৌসুমে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছে না। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে জেলেদের।

বেশি লাভের আশায় প্রভাবশালী কিছু অসাধু জেলে নিষিদ্ধ খুটাজাল, চরঘেরা জাল ও মশারি জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ অন্যান্য মাছের রেনু পোনা নষ্ট করছে বলে অভিযোগ মৎস্যজীবী ও আড়তদারদের।প্রশাসনের লোকজন এর সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ তাদের।

জেলেরা জানান, ওই সব জালে ছোট-বড় সব ধরনের মাছই ধরা পড়ে। এমনকি কীটপতঙ্গ পর্যন্ত রক্ষা পায় না ওই জাল থেকে। পরিবেশ অধিদপ্তর মনে করছে এতে চরম হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ ও নদী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলেরা জানান, প্রতিদিনই নদীতে জাল ফেলতে গিয়ে মেঘনার প্রবল স্রোতে তাদের জাল খরচি জালের খুঁটির সাথে জড়িয়ে যায়। এরপর ওই জাল আর খুলে আনা সম্ভব হয় না। এতে করে গত কয়েক মাসে লাখ লাখ টাকার জাল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন শত শত জেলে।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রভাবশালীদের লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না তারা। জেলেদের অভিযোগ, প্রশাসন মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও এই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে হাত করেই এমন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

অবৈধ জালের বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে জানিয়েছে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান দৌলতখান উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান,এবং বলেন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারী ভোলা মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩ টি পাইজাল,৫০ টি মশারীজাল জব্দ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতে ইতোমধ্যে এসব জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

অবৈধ জাল উদ্ধার করতে না পারলে আগামীতে জেলায় মাছের আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা