স্টাফ রিপোর্ট ।।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে  জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সরাসরি পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় নারায়ণগঞ্জ কোর্ট মসজিদ। পুরাতন কোটে অবস্থিত এই কোর্ট মসজিদের মার্কেটে ১১ টি দোকানের ব্যবসায়ীরা ১৯৯৭ সাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ১৯৯৭ সালে ৩০০০ টাকা ভাড়ায় যে দোকান চালু করেছিল সেই দোকানের ভাড়া এখন ১৩হাজার টাকা উত্তীর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সময় ভাড়া বেড়ে এই পর্যায়ে এসেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও কোট মসজিদটি সরকারি মসজিদ হিসেবে পরিচালিত হলেও এর সভাপতি পদধিকার বলে জেলা প্রশাসক মহোদয়। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে না জানিয়ে শহরের চিহ্নিত বিতর্কিত ব্যক্তি যিনি ইতিমধ্যে অনৈতিক কার্যকলাপ এবং দুর্নীতির অভিযোগে তার সভাপতির পথ হারিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও সমিতি থেকে। সেই ডাক্তার শাহনেওয়াজ  চৌধুরী এই মসজিদ কমিটির বিএনপি জামাত জোট সরকার আমল থেকে সেক্রেটারির পথ দখল করে আছেন। অর্থলোভী ডাঃ  শাহনেওয়াজ ১১ জন সাধারণ ব্যবসায়ীর মাথায় বারি দিয়ে রক্তচোষার মতো টাকা আদায়ের ফন্দি করছেন। শাহনেওয়াজ চৌধুরীগং দোকানদারদের একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল গত পয়লা ডিসেম্বর ২০২২ইং তারিখে ভাড়াটিয়াদেরকে  দোকান ঘর মসজিদ কমিটির কাছে হস্তান্তর করার জন্য। এ প্রসঙ্গে দোকানদাররা মাননীয় জেলা প্রশাসকের কাছে বর্তমান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহনেওয়াজ চৌধুরীর অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এবং ভাড়াটিয়ারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে পারে এবং তাদের উপর তথাকথিত টেন্ডারের নামে জুলুম করা না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য মসজিদ কমিটির সভাপতি মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন। ইতিমধ্যে ১১ জন ব্যবসায়ী  বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ চতুর্থ আদালত( নারায়ণগঞ্জ) একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩৪৬/২০২৩। আগামীতে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত প্রতিবেদন ১১ জন ব্যবসায়ীর নাম সহ বক্তব্য তুলে ধরা হবে দৈনিক প্রিন্ট পত্রিকা গুলোতে।