আমার নাম সাথী সাধারন ঘরের মেয়ে, লেখা পড়ায় ১০শ্রেনীতে পড়ার আর লেখা পড়া হয়নি ,দেখতে সুন্দার আর স্বাস্থ্যবান দেখলে মনে হবে বিএ পড়ি যাক ৫ বোনের বড় আমি ভাই নাই বাবা ব্যবসা করেন , বিদেশী ছেলে পেয়ে ১৮ বছরের মেয়ে ২৯ বছরের ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে দিল, ৬ মাসের ছুটিতে এসে বিয়ে করল, যাক খুব আনন্দে কাটছিল ৫ মাস ২৯ দিন সুখের সংসার, আনন্দের সময় তারাতাড়ি শেষ হয়ে যায় ,বন্ধুরা আমার স্বামীর নাম সোহান ।
আমার স্বামী সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট এর সময় ছিলো সকাল ৯ টা,,তো সে সৌদি আরব যাবে তাই সব কাছের স্বজন ছিলো আশে পাশে ঘর যেন ছিল আনন্দ- বেদনায় ভরা ।
আমি কেন সব মেয়েরাই চায় স্বামী বিদেশ যাওয়ার আগের রাতটা বউ এর সাথেই কাটাক, আনন্দে কাটুক সারারাত সুখ-দু:খের গল্প করে , যেন সেই গানের মত এ রাত যেন শেষ না হয় ।
কিন্তু আমার ভাগ্য যে কেমন জারনি না,আমার শশুড় শ্বাশুড়ি আবদার করে বিদেশ যাওয়ার আগের রাত টা যেন তাদের ছেলে তাদের সাথে থাকে,তারা তাদের ছেলেকে বুকে নিয়ে ঘুমাবে,যদি বিদেশ থেকে আসার আগে তারা মা’রা যায় সেই চিন্তা করেন,তার জন্য যাওয়ার আগের রাত টা তাদের ছেলেকে বুকে নিয়ে ঘুমাতে চান মা-বাবা ।
তো আমি এ কথাটা শুনার পর আমি আমার শাশুরীকে বলি ছেলেকে বুকে নিয়ে আমার সম’স্যা নাই মা ।
সেদিন তারা তাদের ছেলেকে নিয়ে সারা রাত গল্প করে কাটাল শেষে রাতে স্বামীকে ডাকলে গেলাম লজ্বার মাথা খেয়ে দেখি স্বামী ছোট শিশুর মত মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছেন।
আর আমি একা সারা রাত ছটফট করেছি কখন আমার কাছে আসবে আর আসল না রাত শেষ হয়ে গেল, হতো পারত গানের মত আজ মধুরাত আমার ফুল সজ্জা , তা আর হল না ।
আচ্ছা আপুরা আমার শশুরী- শশুর কি এ কাজ টা ঠিক করছে?
আমি বুঝলাম তাদের ছেলে তাদের বেশি অধিকার,,কিন্তু সে দূরে যাবে কবে আসবে না আসবে ঠিক নাই,,যাওয়ার আগের রাত টা স্বামী- স্ত্রী কে একটু সময় দেওয়া কি তাদের উচিত ছিলো না?
,তাদের মুত্যু হতে পারে এটাতো তাদের ভয় জম্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে তার পরও কেন অন্যায় আবদার আমার শাশুরীর ?আমিও তো ম’রে যেতে পারি।
সকালে যখন সবাই গাড়িতে উঠতেছিলো তখন আমাকে আমার স্বামীর সাথে বসা হয়নি কারন ছোট ছোট ভাগিনা , ভাইয়ের ছেলে রা যেন পারে না আমার স্বামীর কাঁদে বসে থাকবে।
বুঝতে বাকি রইল না যে আমার প্রানের স্বামী আমার উপর রাগ করছে আমাকে পাশে বসিয়ে যাবে আর মাঝে মাঝে মনের কথাগুলো বলবে ।
আমার স্বামী কাউবে বুঝতে না দিয়ে রাগ করে গাড়ি থেকে নেমে যায়,সবাই বুঝতে পারে সে রাগ করতেছে, আমার শশুর খুব বুদ্ধিমান আমার নিজের মেয়ের মেত দেখে কিন্তু আমার শাশুরীর জন্য কিছু বলতে পারে না, সবাই নেমে গেল অন্য গাড়ী নিল আর আমাকে শাশুরী বলে ওর বসতে আর কথা বলতে আমি এত লোকের সামনে লজ্বা পেলাম আর মনে মনে খুশী হলাম।
আমরা সারা রাস্তা এক সাথে বসে হাতে হাত রেখে চললাম এয়ারপোর্টে গিয়ে গাড়ী থামল ,আমার আমার ষ্বামী আমাকে না দেখায় ভান করে আমার চোঠে একটা চুমু খেল যেন রাতের কস্টটা যেন দূর হয়ে গেল ।
আমার হাতটা বুকের মাঝে নিয়ে বুঝিয়ে বলে,,তুমি রাগ কইরো না আমার প্রানের ময়না,,আমি তো সারা জীবনই তোমার,কিন্তু গত রাতের কস্টটা কখনো ভুলবো না,,শুধু তোমার কথা ভেবে দু:চোখের পাতা এক করতে পারি নাই, স্বামীর কথা মনে পরে আর বুকের মাঝে একটা শূন্যতা রয়ে গেলো, জানি না আবার কবে আমার স্বামীকে কাছে পাবো।