স্টাফরিপোটারঃ ভোলার লালমোহনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আবুল বশার অভিযোগ করে জানান, মুন্সির হাওলা মৌজার এস এ ৩২ নং খতিয়ান, দাগ নং-৮৫-৮৬ তে জমির পরিমাণ ৫ একর ১৮ শতাংশ জমি আমাদের পৈত্রিক ওয়ারিশি সম্পত্তি, সে সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করতে টিলার দিয়ে জমি চাষ দেওয়া শুরু করে বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজাহান। পরে আমরা বাধা দিলে আমাদের কে দেশিয় অস্ত্র দা, ছেনি লোহার রড লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চেয়ারম্যান শাহজাহান, তার ভাই রফিজল, লোকমান, মিলন, দীন ইসলাম, কাশেম, এমরান, খোকন, নাজিম, তোফায়েল, হাছন আলী ও টিলার চালক রঞ্জন সহ আরো কয়েকজন।
এতে আমাদের আহত হয়, আবুল বশার, হাছান, আবুল খায়ের, ইউনুস, মোঃ আবদুল্লাহ, ময়না বেগম, শাহানাজ বেগম,পারভিন বেগম।
পরে আমাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আহতদেরকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
এ ঘটনায় লালমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, মুন্সির হাওলা মৌজার এস এ ৩২ নং খতিয়ানের মালিক আমিন মিয়ার ওয়ারিশ আবুল হোসেন গংদের কাছ থেকে আমরা ১ একর ৬০ শতাংশ জমি ৩১/৮/২০২২ ইং তারিখে খরিদ করি, যার দলিল নং-১২৮৩ এতে আমার জমা খারিজ খতিয়ান নং- ১২২১ হাল খতিয়ান ডিপি নং-১৮৩৮ হাল দাগ ২৭৯২ রাজস্ব দাগ নং- ১৮৮৫/৮৬
উক্ত জমি খরিদের পরবর্তীতে দাতাগণ আমাদের জমি আমাদেরকে মেপে বুঝিয়ে দেয়।এখন আমরা আজ বুধবার সকালে উক্ত জমি চাষাবাদের জন্য টিলার নামালে বশার সিকদার, আবুল খায়ের, মোস্তাফিজ, হাসনাইন,আবদুল্লাহ, ইউনুছ সহ প্রায় পুরুষ মহিলা মিলে ৩০ থেকে ৪০ জন আমার ছোট ভাই রফিজল, লোকমান, মাইনুদ্দিন, ও টিলার চালক রঞ্জনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। আমি তখন পরিষদে ছিলাম পরে সংবাদ পেয়ে ৮ নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিন চৌকিদারকে সেখানে পাঠাই, তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনায় লালমোহন থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।