ভোলার লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড তাঁরাগঞ্জ মোল্লা বাড়ি থেকে জলেখা (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৭টায় মোল্লা বাড়ির স্বামী সাকিলের ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ জলেখার পিতা আনামিয়া হেজু অভিযোগ করেন, প্রায় ৩ বছর পুর্বে পাশ্ববর্তী গ্রামের মোল্লা বাড়ির মৃত মুজাহারের ছেলে সাকিলের সাথে তার মেয়েকে বিবাহ দেন।
বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার মেয়ে জলেখাকে নির্যাতন করতো স্বামী সাকিল। এনিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। তার রেশ ধরেই সাকিল তার স্ত্রী জলেখাকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে মেরে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে। অপরদিকে জলেখার স্বামী সাকিল জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে একত্রে ভাত খেয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী জলেখাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের ঘাটলায় পানিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে জলেখার মিরগী রোগ ছিল বলে দাবি করেন সাকিল।
লালমোহন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহামুদুল হাসান জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করেছি। তবে গৃহবধূর মাথায় ফুলা যখম পাওয়া গেছে।