বিশেষ প্রতিনিধি,হাসান আকনঃ
বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মো. শাহজাহান গাজী (৫৮) ও তার স্ত্রী মো. জেসিমন বেগম(৪৫)। তাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকেও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
আহত শাহজাহান গাজী বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে ছোট ভাই মো. সাহবুদ্দিন গাজীর সাথে বিরোধ চলছে। বিরোধ নিষ্পত্তি করতে স্থানীয় ভাবে সালিশ-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সালিশগণ চূড়ান্ত রায়ের আগে বিরোধপূর্ণ জমিতে উভয় পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। বুধবার সকালে সাহবুদ্দিন সালিশগণের নির্দেশ অমাণ্য করে পাকা ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করে। আমি নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে সাহবুদ্দিন, তার স্ত্রী শিউলি আক্তার ও মেয়ে শিফাসহ বহিরাগত ৫/৭ লোক আমার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আমাকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আমার স্ত্রী ও মেয়ে আমাকে বাঁচাতে আসলে তাদের ওপর হামলা করা হয়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোসা. নুরজাহান আক্তার বলেন, আহত জেসমিন বেগমের মাথায় ও শাহজাহান গাজীর বাম পায় ও মুখমন্ডলের কয়েক স্থানে গুরতর জখম হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তাদের ১৮ বছরের মেয়ের ঠোট ফেটে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন গাজীর মুঠোফোনে কল করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।
সালিশদার মো. আলাউদ্দিন বলেন,‘ উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখা শেষ। শুধু চূড়ান্ত রায় বাকি। কাউকেই কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই এক পক্ষ কাজ শুরু করলে অপরপক্ষ বাঁধা দেয়। এনিয়ে শুনছি মারামারির ঘটনা ঘটেছে।’
সদর ইউপির ৩নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য একেএম আনোয়ার হোসেন বলেন,‘বিরোধ মিমাংসা করতে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশ- বৈঠক চলছে। সালিশির সিদ্ধান্ত না দেওয়ার আগেই সাহাবুদ্দিন বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা ওয়াল নির্মাণ শুরু করে। এতে শাহজাহান গাজী বাঁধা দিলে তাকে, তার স্ত্রী ও মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন,‘ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।