পটুয়াখালী:

পটুয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে পুরান বাজার এলাকার মিঠাপুকুর পাড় ও টাউন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে।

টানা চার ঘন্টার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা। বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে লাগা এ আগুন রাত সোয়া ৯ টায় নিয়ন্ত্রনে আসে।

এতে বেশে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ আশ পাশের কয়েকটি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

তবে কি ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পেতে বৃহস্পতিবার সকাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে আগুনের সূত্রপাত ও অগ্নিকান্ডের কারন সহ ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপনে জেলা প্রশসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে প্রথমে আমরা আগুন লাগার সংবাদ পাই। সঙ্গে সঙ্গে পটুয়াখালী সদর ফায়ার স্ট্রেশন এবং পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্ট্রেশন অঅগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে।

পরবর্তীতে ভয়াবহতা দেখে মির্জাগঞ্জ, আমতলি, বেতাগী , কলাপাড়া, বাউফল, বাকেরগঞ্জ এবং বরিশাল ফায়ার স্ট্রেশন সহ মোট ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত ১০ টা ৬ মিনিটে আগুন নির্বাপন করি।

তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বলা যাবে।

জেলা পুলিশের ফোর্সসহ দূর্ঘটনা স্থানের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দিতে ঘটনাস্থলেই ছিলেন পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাইদুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘এখানে ফায়ার সার্ভিসের পাশপাশি, পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবকরাও কাজ করেছে। শুরু থেকেই পুলিশ সদস্যরা উৎসুক জনতাকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দিয়েছে, যাতে করে ফায়ার সার্ভিস সহ সেবা প্রদানকারী সংস্থা গুলো নির্বিঘ্নে তাদের কাজ করতে পারে। এখানে পানির উৎস না থাকায় পানি দিতে গিয়ে ফায়ায় সার্ভিস সদস্যদের কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। পাশেই মিঠা পুকুর থাকলেও গতকাল পুকুরের পানি সেচ করে পুকুরটি শুকানো হয়েছে। ফলে পানি পুকুরের তলানিতে থাকায় এই পানির সাথে কাদা মাটি চলে আসায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। সে কারনে কিছুটা দূরে নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রনের কাজ শুরু করা হয়। আমরা পাশ্ববর্তী ভবন থেকে আটকে পরা বাসিন্ধাদের নিরপদে উদ্ধার করেছি। ফলে কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের একজন পুলিশ সদস্য এবং এজন ফায়ারা সার্ভিস সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।

এছাড়াও উৎসুক জনতাকে রুখতে স্ব শরীরে উপস্থিত হন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। জেলা আওয়ামিলীগের সহসভাপতি এড সুলতান আহম্মেদ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড হাফিজুর রহমান উপস্থিত থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তদন্ত করে দেখবে কিভাবে আগুন লাগলো। এ ছাড়া ক্ষয়-ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তৈরী করা হবে। পরবর্তীতে সরকারী ভাবে তাদের কি সহযোগীতা করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’