1. admin@upokulbarta.news : admin :
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তজুমদ্দিনে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ বন্দর ধামগড়ে ভূমিদস্যু দালাল ইলিয়াসের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ অবশেষে চরফ্যাশনের ইসলামী শরীয়া নিষিদ্ধ দাদীর নাতির বিবাহ বিচ্ছেদ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন লালমোহনের হোসনে আরা নাহার নির্বাচনে হামলা’র আশংকায় আতংকিত ৭ নং ওয়ার্ডবাসী-মতি আর একবার সুযোগ পেলে প্রতিশ্রুতির অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করবো রাসিক নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে আবারও কাউন্সিলর হচ্ছে রাসেল চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দীকুর রহমান ভোলায় আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস পালিত বোরহানউদ্দিনে দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালিত

দশমিনায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলেন ছেলে

নিজম্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি, হাসান আকনঃ

এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. রাকিব শনিবার দুপুরেও বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় বাবার মৃত্যুতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া। নিজের বাড়িতে বাবার লাশ! চারদিকে স্বজনদের কান্না-আহাজারি! শেষ পর্যস্ত বাড়িতে বাবার লাশ রেখেই অশ্রু জলে বুক ভাসিয়ে অশ্রু মুছতে মুছতে কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে রাকিব।

কেন্দ্রে তাকে সান্তনা দিয়েছেন কক্ষ পর্যবেক্ষকসহ অন্যরা। রাকিব উপজেলার নেহালগঞ্জ গ্রামের ইব্রাহীম সরদারের ছেলে। সে নেহালগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। আজ রবিবার ছিল বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা। রাকিবের বাবা সদ্য প্রয়াত ইব্রাহীম সরদার (৪৮) বান্দরবান জেলায় ক্ষুদ্রব্যবসা করতেন ।এলাকাবাসী ও রাকিবের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধায় সন্ধ্যায় বান্দরবানের বাসায় আকস্মিক স্ট্রোকজনিত কারণে রাকিবের বাবা ই্ব্রাহীম সরদার মারা যান। পরিবারের কর্তার হঠাৎ এমন চলে যাওয়া কোনোভাবেই মানতে পারছেন না স্বজনরা। আজ সকালে বান্দরবান থেকে তার মরদেহ দশমিনার নেহালগঞ্জ গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।

এমন অবস্থায় রাকিব তার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরীক্ষা দিতে যায়। সেখানে আজ রবিবার পরীক্ষা চলাকালে সে কান্নায় ভেঙে পড়ে।কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাকিব বলেন বাবা আর নেই! বাবা আর কখনই আমাকে আদর করে ডাকবে না! এটা আমি মানতে পারছি না! বাবার স্বপ্ন ছিল আমি অনেক বড় হব। তাই আমি পরীক্ষা দিতে এসেছি , কিন্তু বাবার এভাবে চলে যাওয়া আমাকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে। আমি সহ্য করতে পারছিনা।রাকিব যখন অশ্রুসজল চোখে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকছিল তখন তার বন্ধুদের চোখেও জল। সেটি ছুঁয়ে গেছে শিক্ষকদেরও।রাকিবের শিক্ষকরা জানান, সে মানবিক বিভাগের মেধাবী ছাত্র।

পড়াশোনায় ভীষণ মনযোগী।পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মো. সালাউদ্দিন সৈকত বলেন, বাবার লাশ বাড়িতে রেখে মনে কষ্ট চেপে সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমি তার প্রতি সমবেদনা জানাই। আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দাও। রাকিব অনেক বড় হোক তার প্রতি শুভ কামনা। রাকিবের মামা ইমাম হোসেন জানান, রাকিবকে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য আমি সকালে নিয়ে আসি। বাড়িতে রাকিবের বাবার লাশ অপেক্ষা করছে রাকিবের জন্য। আসর নামাজ বাদ নেহালগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা