1. admin@upokulbarta.news : admin :
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তজুমদ্দিনে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ বন্দর ধামগড়ে ভূমিদস্যু দালাল ইলিয়াসের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ অবশেষে চরফ্যাশনের ইসলামী শরীয়া নিষিদ্ধ দাদীর নাতির বিবাহ বিচ্ছেদ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন লালমোহনের হোসনে আরা নাহার নির্বাচনে হামলা’র আশংকায় আতংকিত ৭ নং ওয়ার্ডবাসী-মতি আর একবার সুযোগ পেলে প্রতিশ্রুতির অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করবো রাসিক নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে আবারও কাউন্সিলর হচ্ছে রাসেল চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দীকুর রহমান ভোলায় আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস পালিত বোরহানউদ্দিনে দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালিত

ধর্ম ও জীবন মাগফিরাত, আমাদের করনীয় কি ?

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪৯ বার পঠিত

ইসলাম,সনাতন,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান অন্যান্য ধর্ম ও জীবন মাগফিরাত কী ও কেন এবং আমাদের করনীয় কি ?

পবিত্র মাহে রমজানের রহমতের দশক অতিবাহিত হয়ে শুরু হয়েছে মাগফিরাতের দশক।
মাগফিরাতের আজ ৬ তম দিন মহান আল্লাহু পাক রাব্বুল আলামীন মহিমান্বিত রমজান মাসে বান্দার জন্য রেখেছেন তিনটি সুবর্ণ সুযোগ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাত প্রাপ্তির।(মিশকাত)

প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিই এই রমজান মাসে সারা বছরের নেকি ও পূণ্যের ঘাটতি পূরণের প্রাণান্তকর চেষ্টা করে থাকেন। ইবাদতের মাধ্যমে রহমতের ১০ দিন অতিবাহিত করার পর মুমিন ব্যক্তিরা মাগফিরাত লাভের আশায় আল্লাহ পাকের দরবারে নিজেকে নতুন করে নিয়োজিত করেন। মাগফিরাত শব্দের অর্থ হলো ক্ষমা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসংখ্য গুণাবলীর মাঝে অন্যতম একটি গুণ হলো তিনি ক্ষমাশীল। এ জন্য আল্লাহ তায়ালার অপর একটি নাম হলো ‘আল-গাফুর’। আর ‘গাফুর’ শব্দের বাংলা অর্থ হলো ‘ক্ষমাশীল’। বান্দা যেন তার সারা বছরের কৃত সব গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে, এই জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রমজান মাসের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত তথা ক্ষমা লাভের দিন হিসেবে ধার্য করেছেন। মাগফিরাতের এই দশকে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রেখেছেন অফুরন্ত ক্ষমার ভাণ্ডার। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেন- ‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের ওপর জুলুম (গুনাহ) করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু। ( সুরা আয -যুমার ৫৩) এই আয়াত দ্বারা মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের যেন এটাই আশ্বস্ত করেছেন যে রমজানের রহমতের দশক শেষ হয়েছে তো কী হয়েছে, আল্লাহর রহমত তো ফুরিয়ে যায়নি, এমনকি আল্লাহ বান্দার সব গুনাহ মাফ করার কথা বলেছেন। অন্য আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন- ‘তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন ? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।(সুরা মায়িদা- ৭৪) তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা দ্বারা আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক মজবুত হয়। হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ১০০ বার করে ইস্তেগফার করতেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে : আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা দিনরাত গুনাহ করে থাক। আমি তোমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেব। তোমরা ইস্তেগফার করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব।(মুসলিম)

সুতরাং প্রত্যেক মুমিনেরই উচিত মাগফিরাতের এই দশকে বেশি বেশি করে আল্লাহর দরবারে তওবা করা এবং গোনাহ মাফের জন্য চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে রোনাজারি করা।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা