শুটিংয়ের আগে মহাচিন্তা। কুসুম শিকদারের রীতিমতো ১০২ ডিগ্রি জ্বর! সঙ্গে মাথাব্যথা। চোখে যেন কিছুই দেখছেন না। নিজেকেই শুটিংয়ের সবকিছু তদারক করতে হয়েছে। কোনো ভুল হলে মাসুল তাঁকেই দিতে হবে। ভক্তদের প্রশ্ন থাকতে পারে, অভিনেত্রীর আবার এত চাপ কেন? ক্যারিয়ারে প্রথমবার সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন যে। সিনেমাটিতে আবার নিজে অভিনয়ও করেছেন। ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’ হিসেবে শুটিংয়ের সেই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করলেন এই অভিনেত্রী।
একটা সময় নাটক ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত মুখ ছিলেন কুসুম শিকদার। চার বছর আগে ছন্দপতন, ব্যস্ততা থেকে দূরে সরে যান এই অভিনেত্রী। মাঝে নিজের কবিতা ও গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হলেও অভিনয়ে আর দেখা যায়নি।
‘গহীনে শব্দ’, ‘লাল টিপ’, ‘শঙ্খচিল’ দিয়ে আলোচনায় আসা এই অভিনেত্রী এবার ‘শরতের জবা’ সিনেমা নিয়ে ফিরছেন। গল্পটি তাঁর লেখা ‘অজাগতিক ছায়া’ গল্পগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
নতুন পরিচয় কতটা উপভোগ্য ছিল? প্রশ্ন শুনে কুসুম বললেন, ‘কী যে বলেন। চিন্তায় আমি শেষ। নিজে না ঘুমিয়ে, ঠিকমতো না খেয়ে অন্যদের ভালো রাখতে হয়েছে। ২০০ কলাকুশলীর বিশাল টিম। কে কী খাবে, কোথায় থাকবে, এসব দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে। পাশাপাশি অভিনয়ও করতে হয়েছে। অভিনয় করিয়েও নিতে হয়েছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে চাপটা আমার কাঁধেই ছিল।’
শুটিংয়ের জন্য দাদার বাড়ি নড়াইলের পহরডাঙ্গা গ্রামকে বেছে নিয়েছিলেন কুসুম। সেই গ্রামে কোনো হোটেল–রিসোর্ট নেই, আধুনিক সুযোগ–সুবিধাও নেই। এর মধ্যে ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
কীভাবে করলেন, জানতে চাইলে কুসুম বলেন, ‘কেউ আমাদের বাড়িতে ছিলেন, কেউ চাচার বাড়ি। ফুপু ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ছিলেন। কেউ স্কুলেও ছিলেন। এত দিন শুধু নিজের থাকা–খাওয়ার দিকে নজর দিয়েছি। প্রযোজক হওয়ার কারণে এবার খুব কাছ থেকে বুঝতে পারলাম দায়িত্বটা অনেক কঠিন। সব ঠিকমতো পালন করতে হবে। না হলে নিজেরই ক্ষতি।’